প্রত্যন্ত গ্রামের একটি বিদ্যালয়। বিশাল ক্যাম্পাস জুড়ে একাধিক আয়োজন। কোথাও বিভিন্ন মনীষীদের মূর্তি, কোথাও ল্যাবরেটরি, বিশাল খেলার মাঠ থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মানসিক দৃঢ়তা আনতে ধ্যানকক্ষ, কী নেই এই বিদ্যালয়ে? ছাত্র-ছাত্রীদের স্বনির্ভর করতে মাছ চাষ এমনকি বিদ্যালয়ের ছাদে ছাদ বাগানও তৈরি করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে এবং তাদের মধ্যে বিদ্যালয়ে আসার প্রবণতা বাড়াতে অভিনব উদ্যোগ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। প্রতিদিন এই বিদ্যালয়ে উপস্থিতির সংখ্যা চোখে পড়ার মতো।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রান্তিক ব্লক পিংলার ছোটখেলনা সুরেন্দ্র স্মৃতি বিদ্যামন্দির। ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিদ্যালয়। বর্তমানে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশ কয়েকশো। বিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক জিমনাসিয়াম থেকে ধ্যান কক্ষ। এই ধ্যান কক্ষে পড়ুয়া থেকে শিক্ষকেরা একাগ্রচিত্তে ধ্যান করতে পারে। শুধু তাই নয়, ক্লাসরুম, বিদ্যালয়ের দেওয়াল সাজানো হয়েছে নানান ছবিতে। বিভিন্ন মনীষীদের বাণী থেকে শিক্ষা সামগ্রীকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ছবিতে। বিদ্যালয়ে রয়েছে এক মানবিক উদ্যোগের জন্য কক্ষ। বাড়িয়ে দাও তোমার হাত এই উদ্যোগে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের সাহায্য করা হয়। রয়েছে বৃহৎ লাইব্রেরি। পড়ুয়াদের শুধু পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার পাশাপাশি স্বনির্ভর করতে মাছ চাষ এবং বিভিন্ন ফলের চাষে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়।
বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজে শুধু পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের মানসিক, শারীরিক এবং দৈহিক বিকাশে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকার এই বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের এই ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।