হাসপাতালের ভেতরে এমন ছবি দেখে রীতিমত ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা। তাঁদের অভিযোগ, যেখানে পরিচ্ছন্নতা আর জীবাণুমুক্ত পরিবেশ সবচেয়ে জরুরি, সেখানে এমন বেপরোয়া মনোভাব ও অবহেলা মেনে নেওয়া যায় না। এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ জানান, “নিয়মিত হাসপাতাল পরিদর্শনে বের হই। বিষয়টি তাদের নজরে এসেছে। বর্ষার সময় গাছ একটু তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। যে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার এই দায়িত্বে রয়েছেন তাঁকে বলা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে গাছ কাটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”
advertisement
সাধারণত বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছ যে কতটা ক্ষতিকারক, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই গাছে থেকে ছড়ানো পরাগরেণু শ্বাসতন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। অ্যালার্জি, হাঁপানি এমনকি ব্রঙ্কাইটিসের মত জটিল সমস্যাও তৈরি হতে পারে। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের ভেতরে যেখানে যক্ষা রোগ চিহ্নিত করতে আসছেন বহু মানুষ, ঠিক সেই পরীক্ষাগারের পাশে ও সামনেই শ্বাসকষ্ট বাড়াতে পারে এমন বিষাক্ত গাছের দেদার বংশ বিস্তার।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এমনকি এর পাশেই রয়েছে বহির্বিভাগ। যেখানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ ডাক্তার দেখাতে আসেন। চিকিৎসকরা এই গাছের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে বারবার মুখ খোলেন। কিন্তু সেই বিষাক্ত গাছেই কার্যত ছেয়ে রয়েছে যেখানে চিকিৎসকদের নিয়মিত আনাগোনা। তবে শুধুমাত্র কি আশ্বাসেই রক্ষা পাবে রোগীরা? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরের আড়ালে কীভাবে থেকে যাচ্ছে গাছগুলো, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
সুস্মিতা গোস্বামী