ধৃত ব্যক্তির নাম শেখ ইসরাইল। তার বাড়ি বর্ধমানের দুবরাজদিঘি এলাকায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে , বর্ধমান তিনকনিয়া পুরনো বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে টিয়াপাখি নিয়ে আরামবাগে পাচার করা হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর আসে। এরপরেই শহরের ওই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালায় বন দফতর।
এদিন ভোর ৪টে নাগাদ তিনকনিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে সন্দেহজনক এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তার কাছ থেকে দুটি নাইলনের ব্যাগে খাঁচার ভিতর থেকে ৩৮ টি ভারতীয় টিয়া পাখির শাবক উদ্ধার করে বন দফতরের আধিকারিকরা। ঘটনায় শেখ ইসরাইলকে গ্রেফতার করা হয়। পাখিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : এ বছর পয়লা বৈশাখ কবে, কোন নতুন বঙ্গাব্দে পা দেব আমরা, জানুন তারিখ ও বার
বুধবার ধৃত ব্যক্তিকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয় । যদিও ধৃত শেখ ইসরাইল জানিয়েছেন যে এই পাখি তাঁর নয়। বন দফতরের আধিকারিকরা জানান, এই চক্রের সঙ্গে আরও বেশ কয়েক জন জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। ওই পাখিগুলি কোথা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল সে ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন : পার্সের জন্য মেনে চলুন এই বাস্তু টিপস, টাকাপয়সার অভাব থাকবে না
জানা গিয়েছে, পাখি পাচার রুখতে এখন অনেক সক্রিয় বন দফতর। সে কারণে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে পাচারকারীরা। সে কারণে খুব ভোরের সময়কে পাচারের জন্য বেছে নিচ্ছে তারা। ওই সময় বন দফতরের নজরদারি কম থাকে। সেই সুযোগে সড়ক পথে বাসে বা অন্যান্য গাড়িতে পাখি পাচার চলছিল। এ ব্যাপারে গোপন সূত্রে খবর আসায় অভিযানে নামা হয়। সেই অভিযানেই এক জন পাচারকারীকে গ্রেফতার ও পাখিগুলিকে উদ্ধার করা সম্ভব হল।