প্রসঙ্গত, গত রবিবার পাঁশকুড়ার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রের বিরুদ্ধে চিপসের প্যাকেট চুরি করার অভিযোগ ও তার জেরে কার্যত অপমানিত হয়ে সুইসাইড নোট লিখে ওই ছাত্রের আত্মহত্যা ঘিরে তোলপাড় পরে গিয়েছে গোটা রাজ্যে। মর্মান্তিক এই মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে সব মহলকে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক পুলিশকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে পাঁশকুড়া থানায় বিক্ষোভ রবিবার বিক্ষোভও দেখায় এলাকার বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সেইসঙ্গে এলাকার মহিলারা চিপসের প্যাকেট নিয়ে পাঁশকুড়া থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি ছিল অবিলম্বে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘দাঁড়াও, তোমার হাত কাঁপছে কেন…?’ চিৎকার করে উঠল কনে! পরমুহূর্তে যা ঘটল, ঘাম ছুটল বরের!
এর আগে রবিবার সকালেই পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন পাঁশকুড়ায় চিপস চুরির অপবাদে মৃত ছাত্রের মা, সুমিত্রা পাত্র। মারাত্মক অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, “আমাদের পাশে কেউ নেই, যে সাহায্য করতে আসছে, তাকেই গ্রেফতার করছে পুলিশ। আমরা অসুস্থ হয়ে পড়েছি, দরকার পড়লে হামাগুড়ি দিয়ে থানায় যাব অভিযোগ জানাতে।” ছেলের মৃতদেহ জোরপূর্বক দাহ করেছে পুলিশ, এমন দাবিও করেন মৃত ছাত্রের মা।
উল্লেখ্য, পাঁশকুড়ার গোসাইবেড় গ্রামের বছর বারোর স্কুল ছাত্র কৃষ্ণেন্দু দাস বেরিয়েছিল চিপস কিনতে। দোকানে গিয়ে দোকানদারকে অনেকবার ডাকাডাকি, করার পরেও সে দেখতে পায়নি তাঁকে। দোকানের বাইরেই পড়েছিল চিপসের প্যাকেট। চিপসের প্যাকেট তুলে সাইকেলে করে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছিল সে। অভিযোগ, স্থানীয় ওই দোকানদার যিনি পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার এরপরেই ওই নাবালককে চোর অপবাদ দেয় এবং ভরা বাজারেই কান ধরে ওঠবস করায়।
পরিবারের দাবি, চোর অপবাদ দেওয়ার পরে সেই কিশোর আত্মহত্যা করেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দোকানদারের বিরুদ্ধে এ বার এফআইআর দায়ের হল। রবিবার ওই ছাত্রের পরিবার পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তার ভিত্তিতে রুজু হয় মামলা।