চরঘেরি গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রাম লাগোয়া ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে বাঘ ঢুকেছে৷ খবর পেয়ে আজ সকালেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বন দফতরের কর্মীরা৷ এলাকায় পৌঁছে তাঁরা বাঘের পায়ের ছাপও দেখতে পেয়েছেন বলে খবর৷
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে পর্যটকদের লঞ্চের একেবারে কাছে চলে এল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, দেখুন রোমহর্ষক ভিডিও
advertisement
বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আর ঝুঁকি নেননি বন কর্মীরা৷ বাঘটি যাতে গ্রামের ভিতরে ঢুকতে না পারে, সেই জন্য ম্যানগ্রোভের জঙ্গলের ওই অংশ নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে৷ সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে৷ বাঘের ভয় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷
আরও পড়ুন: ৬ দিনের 'অগ্নিপরীক্ষা'য় সাফল্য, বাঘ ধরার পুরস্কার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
দিন কয়েক আগেই বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল কুলতলীতে৷ ছ' দিনের ধরে অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাঘটিকে ধরে বন দফতর৷ তার পর এক সপ্তাহ কাটতে কাটতেই ফের লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ার আতঙ্ক৷ কুলতলীর আগে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার মৈপীঠেও লোকালয় থেকে ধরা পড়েছিল বাঘ৷ এই নিয়ে গত একমাসে তিন বার সুন্দরবন সংলগ্ন লোকালয়ে বাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনা নয়৷
বাঘ বিশেষজ্ঞ জয়দীপ কুণ্ডু বলেন, 'সুন্দরবনের গ্রামে বাঘ ঢুকে পড়ার ঘটনা অস্বাভাবিক বা নতুন কিছু নয়৷ বাঘের লোকালয়ে ঢোকা বন্ধ করতে জঙ্গল এবং গ্রামের সংযোগস্থলে বন দফতরের তরফে নাইলনের নেট লাগানো হয়েছে৷ নিয়মিত নেটের জাল পরীক্ষা করা হয়, প্রয়োজনে মেরামত করা হয়৷ সেই কারণে লোকালয়ে বাঘ ঢোকার প্রবণতা অনেক কমেছে৷ তার পরেও বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ে৷ তবে তা মানুষের ক্ষতির উদ্দেশে নয়৷ কারণ গভীর জঙ্গল বা গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের চেহারা অনেকটা একই রকমের হয়৷ তাই বাঘ অনেক সময়য় বিভ্রান্ত হয়ে যায়৷ পাশাপাশি, সহজে গরু, ছাগলের মতো শিকার পাওয়ার লোভেও বাঘ গ্রামে ঢোকে৷'
Anup Biswas
