#কুলতলি: ছ'দিন ধরে সন্ধান চলছিল তার। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে ধরা পড়েছে কুলতলির বাঘ (Royal Bengal Tiger)। ঘুমপাড়ানি গুলির ঘায়ে কাবু বাঘটিকে কাবু করেছিলেন বনকর্মীরা (forest Department)। শেষমেশ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় ঝড়খালির জঙ্গলে। ফলে বেশ কয়েকদিন পর নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যেতে পেরেছে কুলতুলির বাসিন্দারা। এই পরিপ্রেক্ষিতে যারা ওই বাঘটিকে ধরতে সমর্থ হয়েছেন, তাঁদের জন্য পুরস্কারের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''যারা বাঘ ধরেছেন তাদের পুরষ্কার দেওয়া হবে।'' সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ''অনেক প্রাকৃতিক বিপর্যয় এই জেলার ওপর দিয়ে যাবে। গঙ্গাসাগর অবধি জল এসেছিল এবার। জেলাশাসক, সেচ দফতর সহ একাধিক বিভাগ করেছে।'' তবে, প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এভাবে বনকর্মীদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পুরস্কার ঘোষণা নজর কেড়েছে আলাদা করে।
মঙ্গলবার কুলতলির শেখ পাড়ার জঙ্গলে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করা হয় বাঘটিকে। এলাকার মানুষের ভিড় তখন ভেঙে পড়েছে বাঘ দেখতে। দূরে জালের ভিতর দেখা গিয়েছে বাঘটিকে পড়ে থাকতে। ডোঙাজোড়া জঙ্গলেই পাঁচদিন ধরে গা-ঢাকা দিয়ে ছিল বাঘটি। অবশেষে ধরা পড়ল সে। তবে, এই কদিনের ধকলের পরও সুস্থই রয়েছে বাঘটি। তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জঙ্গলে।
আরও পড়ুন: কুলতলির শেখপাড়ার জঙ্গলে দক্ষিণ রায়কে ঘুমপাড়ানি গুলি, ধরা পড়ল রয়্যাল বেঙ্গল
বাঘটি ধরা পড়ার পর রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ''এই শেষ কয়েকদিন আমাদের খুব অ্যাংজাইটিতে কেটেছে। ভয়ে ভয়ে ছিলাম। আমাদের প্রচেষ্টা ছিল যে বাঘটিকে আমরা ধরবই। শেষ পর্যন্ত বন দফতর সাফল্য পেয়েছে। আমি বনদফতরকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, একইসঙ্গে গ্রামবাসীদেরও ধন্যবাদ দিচ্ছি।''
আরও পড়ুন: বাম শাসিত কেরলের নতুন রেকর্ড, ক্রিসমাসে মদ বিক্রির অঙ্কে ভিড়মি খাচ্ছেন অনেকে!
সাধারণত বাঘকে ঘুমপাড়ানি গুলি করার পর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট অপেক্ষা করা হয়। তার পর বাঘের আশেপাশে পটকা ফাটানো হয়। দেখা হয় বাঘটি সম্পূর্ণ অজ্ঞান হয়েছে কি না। তার পরেই বাঘের কাছে যাওয়া হয়। কুলতলির বাঘটিকে সবদিক থেকেই রক্ষা করা গিয়েছে। ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জঙ্গলে। সেই কারণেই এবার সেই বন দফতরের কর্মীদের পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।