উল্লেখ্য, দুই ডিওয়াইএফআই কর্মী গৌতম রুইদাস এবং সঞ্জয় রুইদাস। তারা আসানসোলের দিক থেকে বাইকে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া ফিরছিলেন। ফিরতি পথে রানীগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড়ের কাছে এটি বারো চাকার গাড়ি তাদের বাইকে ধাক্কা মারে। গৌতম রুইদাসের পায়ের উপর দিয়ে চলে যায় গাড়িটি।
যার ফলে ব্যাপকভাবে গৌতম বাবুর দুটি পা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একইসঙ্গে বিস্তর আহত হয়েছেন সঞ্জয় রুইদাস। দুর্ঘটনার শিকার ওই দুজন যখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন, তখন সে রাস্তা দিয়েই ফিরছিলেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। যন্ত্রণায় কাতর দু’জনকে দেখে তিনি নেমে পড়েন নিজের দায়িত্ব পালনে।
advertisement
আরও পড়ুন: চাল, ডালে পোকা ধরেছে? মনে রাখুন এই কয়েকটি সহজ টোটকা! মাসের পর মাস ভাল থাকবে
আসানসোল থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনাস্থলে নেমে পড়েন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন রানীগঞ্জ থানায়। পুলিশের তৎপরতায় দশ মিনিটের মধ্যে তাদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। তারপর কুড়ি মিনিটের মধ্যে তাদের দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়। দুজনকে হাসপাতালেও আনার পর সেখানে আসেন নরেন্দ্রনাথ বাবু। তাদের ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন তিনি। একই সঙ্গে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকাও জমা দেন। পাশাপাশি আহত ২ বাম কর্মীর পরিবারের সদস্যদের পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি জানিয়েছেন, তিনি রাজনীতির কোন রং দেখেননি। মানুষ হিসেবে তার সাধারণ কিছু দায়িত্ব রয়েছে। দুর্ঘটনায় আহত দুজন মানুষ রাস্তায় পড়েছিলেন। তাদের উদ্ধার করা কর্তব্য ছিল। তাই তাদের উদ্ধার করে পাশে দাঁড়িয়েছি। তাদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি।
একই সঙ্গে আহত দুই বাম কর্মী যাদের দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সে বিষয়েও প্রার্থনা জানিয়েছেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল সভাপতির এমন কাজকর্ম দুই আহত কর্মীর পরিবারের সদস্যদের রীতিমতো অভিভূত করেছে। এই ঘটনা দেখে বাহবা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষও।
নয়ন ঘোষ