জানা গিয়েছে, মোট ১৬ আসন রয়েছে আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। নির্বাচনের নিরিখে ১৩ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি, ২ টি আসনে ছিল তৃণমূল ও ১টি আসনে সিপিএমের সদস্য জয়লাভ করেছিলেন। এরপর বিজেপির এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর অন্য আরও দুই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। আর রবিবার পঞ্চায়েত প্রধান সহ দুই সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯টি।
advertisement
আরও পড়ুন: সোমে উদ্বোধন, পার্ক স্ট্রিটের ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যালে এবার অনেক নিয়ম বদল! জেনে রাখুন...
দলবদলের পর বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ''বিজেপিতে থেকে উন্নয়নের কোনও কাজই করতে পারছিলাম না। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নিজের ইচ্ছেতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম। আমাদের গ্রামে উন্নয়ন প্রয়োজন। আর সেই উন্নয়নের জন্যই তৃণমূলে যোগদান করলাম।''
আরও পড়ুন: বিজেপির দাবিমতো কলকাতায় কি পুনর্নির্বাচন? সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ''আনাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান ও সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছে। তাই এই পঞ্চায়েত এখন তৃণমূলের দখলে এল। এলাকার উন্নয়নের জন্য এবার সকলে একযোগে কাজ করবে।'' বিজেপি অবশ্য এই যোগদানের নেপথ্যে ভয় দেখানোর অভিযোগ করেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর দাবি, প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁদের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে জোর করে তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছে। তৃণমূলের তরফে স্বাভাবিক ভাবেই সেই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।