পঞ্চায়েত নির্বাচনে পূর্ব বর্ধমান জেলার আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে এই খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। এই তালিকা নিয়ে কারও কোনও আপত্তি থাকলে বা কোনও পরামর্শ থাকলে তা ১৫ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। তার পর চূড়ান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদে আগে ৫৮টি আসন ছিল। ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তা বাড়িয়ে ৬৬ করা হচ্ছে। খসড়া তালিকা অনুযায়ী, মোট আসনের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৩টি আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। তফশিলি জাতি ১১ ও তফশিলি জাতি মহিলাদের জন্য ১১টি আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। তফশিলি উপজাতি ৩টি ও তফশিলি উপজাতি মহিলাদের জন্য ২টি আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণীর ও অনগ্রসর শ্রেণী মহিলাদের জন্য ৩টি করে মোট ৬টি আসন সংরক্ষিত করা হয়েছে। সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে ১৭টি আসন। বাকি ১৭টি আসন সংরক্ষণের আওতায় থাকছে না। জেলা পরিষদের মত পঞ্চায়েত সমিতি স্তরেও সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন বাড়ানো হচ্ছে। জেলার ২৩টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ৮টি আসন বাড়ছে বলে খসড়া তালিকায় জানানো হয়েছে। রায়না-১ ও ২, বর্ধমান-২, গলসি-১ ও ২, কালনা-২, মেমারি-২ ও কেতুগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতিতে ১টি আসন বাড়ানো হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরেও আসন বাড়ানোর হচ্ছে বলে উল্লেখ রয়েছে খসড়ায়।
advertisement
আরও পড়ুন-কালী পুজো মিটলেই বর্ধমানে টোটো চলাচলে শৃঙ্খলা ফেরাতে উদ্যোগী হবে প্রশাসন
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই খসড়া তালিকা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন এদিন বলেন, ‘‘এদিনই প্রকাশ হয়েছে খসড়া তালিকা। ২ নভেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে আপত্তি জানানোর। তবে যতটুকু চোখে পড়েছে তাতে কিছু ক্ষেত্রে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। যেমন গলসি-২ ব্লকের জেলা পরিষদের তিনটি আসনই মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে। তাই এটা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। আরও কোথাও এমনটা হয়েছে কি না সেটা খতিয়ে দেখছি আমরা।’’ তবে শাসক দল তৃণমূলের দাবি খসড়া তালিকা নিয়ম মেনেই হয়েছে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই সংরক্ষণ তালিকা নির্বাচন কমিশন নিয়ম মেনে তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আমাদের আপত্তির কিছু নেই। তবে জেলা পরিষদের আসনও বাড়ছে।’’