এবার মৃতা তরুণীর বাড়ির সামনে বসানো হল পুলিশ পিকেট। রবিবার রাতে দুর্ঘটনার পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই বন্ধ চন্দননগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের নারুয়া রায় পাড়ার চ্যাটার্জি বাড়ির দরজা। থমথমে এলাকার পরিবেশ। মাঝেমধ্যেই বাড়ির ভেতর থেকে শোনা যাচ্ছে কান্নার আওয়াজ। গতকাল দেহ আনতে দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন মা ও পিসি।
আরও পড়ুন: কতদিন ‘বাঁচবেন’ আপনি? নখেই লুকিয়ে বড় ‘ক্লু’! নিজেই দেখে বুঝতে পারবেন কীভাবে? জেনে নিন
advertisement
সুতন্দ্রার পিসি মৌসুমী জানান, ‘‘ড্রাইভার কি বলেছে শুনিনি। ইভটিজিং-এর অভিযোগ জানানো হয়েছে। কী হয়েছিল পুলিশি তদন্তে বেরোবে। ’’ সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চ্যাটার্জী জানালেন, ‘‘হাইওয়ের ওপরে কোনও পুলিশি নিরাপত্তা নেই, মোবাইল ভ্যান নেই। অন্য রাজ্যে গিয়ে নিরাপদ কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে নিরাপত্তা নেই। এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারল কিনা সেটাই আমরা জানতে পারছি না। গাড়িটা ধরা পড়েছে।’’
নিহত তরুণীর মায়ের আরও অভিযোগ, ‘‘আমরা কোনওরকম বয়ান বদল করিনি। পুলিশ যে দাবি করছে সেটা তাদের বিষয় পুলিশ পুলিশের মত দাবী করছে আমরা ইভটিজিংয়ের দাবি করছি। যে গাড়িটা ধরা পড়েছিল। এই গাড়ির মধ্যে যারা ছিল মদ্যপ অবস্থায় ছিল। সেই গাড়ির মধ্যে থেকে মদের গ্লাস, মদের বোতল পাওয়া গেছে।’’
পুলিশের রেষারেষির দাবি মানতে নারাজ সুতন্দ্রার মা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘পুলিশ দাবি করছে যে, রেষারেষির কারণে ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা মনে করি যে চালক গাড়ি নিয়ে গিয়েছিল সেই চালকের সঙ্গে আমি অনেক জায়গায় অনেকবার গিয়েছি। সেই ড্রাইভার রেষারেষি করার ড্রাইভার নয়। তারা অনেকবারই এখান থেকে গয়া গেছে আবার ফেরত এসেছে। যারা প্রতিদিন যাতায়াত করে তারা হাইওয়েতে কোনওদিন রেষারেষি করবে না।’’ প্রসঙ্গত চন্দননগর পুলিশের একটি দল সুতন্দ্রাদের বাড়ির সামনে মোতায়েন করা হয়েছে।
পানাগড়ের ঘটনার প্রতিবাদে ও রাজ্য জুড়ে মহিলাদের নিরাপত্তার দাবিতে চন্দননগরে বিক্ষোভ বিজেপির। মঙ্গলবার চন্দননগর বাগবাজার মোড়ে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় হুগলি জেলা বিজেপি। অবরোধে উপস্থিত রয়েছে রাজ্য সম্পাদক দীপাঞ্জন গুহ, হুগলি জেলা বিজেপি সভাপতি তুষার মজুমদার-সহ জেলা নেতৃত্ব। অন্যদিকে, চন্দননগরের তরুণী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় ইভটিজিংয়ের দাবিতেই এখনও অনড় পরিবার।
রানা কর্মকার