নাগরিকত্ব রয়েছে পাকিস্তানের তবে ভোট দেন ভারতে। দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ভারতেই রয়েছেন পাকিস্তান নাগরিক ফতেমা বিবি। তাঁর স্বামী ও দুই কন্যা নিয়ে তাঁদের পরিবার রয়েছে। চন্দননগরের কুঠির মাঠ এলাকার বাসিন্দা ফাতেমা বিবি (মল্লিক)। তিনি যে ভারতীয় ভোটার তার প্রমাণ রয়েছে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায়। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
advertisement
একজন পাকিস্তানের নাগরিক এ দেশের ভোটার কীভাবে হলেন সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছে রাজনৈতিক দলগুলো। চন্দননগর পুরো নিগমের ডেপুটি মেয়র মুন্না আগারওয়াল বলেন, ‘৪৫ বছর আগে এই বিষয়টি খোঁজখবর করা উচিত ছিল। ১৯৮০ সালে আমাদের সরকার ছিল না যারা ছিল তারা বলতে পারবে কীভাবে ভোটার লিস্টে নাম উঠল। যেহেতু উনি ৪৫ বছর ধরে এখানে সংসার করছেন তাই ট্রাইবুনালে মানবিক দিক থেকে এর মীমাংসা করা হবে। মহিলার কোনও অবৈধ কার্যকলাপ নেই, সেই দিক থেকে মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে সরকার বিবেচনা করবে। ১৯৮০ সালে যখন এসেছে বামফ্রন্ট সরকার ছিল, তারা বলতে পারবে। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, কর্পোরেশনের কোনও বিষয় না, এটা ভারত সরকার এবং নির্বাচন কমিশন বলতে পারবে।’
গতকাল চন্দননগর থানা ফতেমা বিবিকে গ্রেফতার করে চন্দননগর আদালতে পেশ করে। তাঁর ১৪ দিনের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। ফতেমার পরিবার গতকালই জানিয়েছিল, বয়সজনিত কারণে নানা ব্যাধি রয়েছে তাঁর। হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করতে হবে। ওষুধ ছাড়া এক মুহুর্তও চলে না। এই অবস্থায় একজন মানুষ কী করে জেলে থাকবেন?
স্থানীয় বাসিন্দা ফতেমার প্রতিবেশীরাও সরকারের কাছে আবেদন করছেন, বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা উচিত। প্রায় চার দশকের বেশি সময় ধরে একজন মানুষ ভারতে রয়েছেন। তিনি ভোট দেন, অন্যান্য সব ধরনের পরিচয়পত্র রয়েছে। যেহেতু আইন মেনে মুজফফর মল্লিকের সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়েছিল। তাঁদের দুজনের সন্তান সন্ততি রয়েছে। এখন ওই মহিলাকে পাকিস্তান ফেরত পাঠালে সে যাবে কার কাছে? তাঁর তো পাকিস্তানে কেউ নেই। প্রশ্ন তুলছেন আত্মীয়-পরিজনেরা।
সোমনাথ ঘোষ