সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পার্কটিরও আধুনিকিকরণ করা হচ্ছে। ছোট ছোট শিশুদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে। শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য একাধিক ভূমিকা নেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের সুবিধার্থে অনলাইন টিকিটও চালু করা হয়েছে। এবার আসছে একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রী রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। গত বছর ব্রাজিল ও আফ্রিকা থেকে আনা টিয়া দেখতে পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন। উত্তরবঙ্গের জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে আনা চিতাবাঘ পলাশ ও বাঁকুড়া থেকে উদ্ধার করা ভাল্লুক বল্লু পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সফল অপারেশন রাইনো! দুর্যোগের পর ১০ গন্ডারকে ঘরে ফিরিয়ে উল্লাস জলদাপাড়ায়, রাতে বনকর্মীদের খানাপিনা
ডিএফও উমর ইমাম বলেন, ‘শীতের আগে চিড়িয়াখানা নতুন ভাবে সাজানো হচ্ছে। আবাসিক প্রাণীদের খাঁচাগুলির মান বাড়ানো ও মনোরঞ্জনের উপর জোর দিয়েছি। পশু-পাখিদের মানসিক, শারীরিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে নানা পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে’। তিনি জানান, এ বার থেকে প্রতি শনি ও রবিবার চিতাবাঘ হর্ষিণী ও তার শাবককে এবং বাঘরোল ও তার শাবককে নির্দিষ্ট ঘেরাটোপে ছাড়া হবে।
জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক
বর্তমানে পার্কে রয়েছে কয়েকশো চিতল হরিণ, পাঁচটি সম্বর হরিণ, ২২টি স্বর্ণমৃগ, রকমারি পাখি, নীলগাই, অজস্র তারা কচ্ছপ, গোসাপ, এমু পাখি, সজারু, নীলগাই, ভাল্লুক, হায়না, নেকড়ে, বিভিন্ন প্রজাতির সাপ, গন্ধগোকুল, বাঁদর, হনুমান, মদনটাক পাখি, বন-মুরগি, ময়ূর, কালিজ ও গোল্ডেন ফিজেন্ট, শাবক-সহ পাঁচটি চিতাবাঘ।
সম্প্রতি কলকাতা থেকে দু’জোড়া পেন্টেট স্টর্ক (বক জাতীয় পাখি), এক জোড়া কাকাতুয়া, এক জোড়া ম্যাকাও, দুটি ইন্ডিয়ান শজারু আনা হয়েছে। চিড়িয়াখানার এই সব আবাসিকদের মনোরঞ্জনের ও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এখন নানা পরিকাঠামো তৈরি ও উন্নয়নের কাজ হচ্ছে। চিতাবাঘের জন্য দোলনা, পাখিদের বাসা তৈরি করা হয়েছে। কুমিরের ঘেরাটোপ (এনক্লোজার) এবং রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের জন্য নাইট শেল্টার তৈরি হয়ে গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঝাড়গ্রাম শহরের উপকণ্ঠে ধবনী বিটে সাড়ে ২২ হেক্টর জায়গা জুড়ে থাকা ওই চিড়িয়াখানা ‘ডিয়ার পার্ক’ নামেই বেশি পরিচিত। এর আয়তন আলিপুর চিড়িয়াখানার থেকেও বড়। জানা গিয়েছে, এ বার পুজোর সময়ে এখানে ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত দু’লক্ষ টাকার বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছিল। তার মধ্যে শুধুমাত্র সপ্তমীতেই ৫৫ হাজার টাকার টিকিট বিক্রি হয়েছিল এখানে। সামনেই শীতের মরসুমে ভিড় আরও বাড়বে বলেই আশা।