স্থানীয় কয়েকটি সূত্রের মতে, নিহতের সংখ্যা অন্তত তারও বেশি হতে পারে। সূত্রের খবর, হামলাকারীরা সংখ্যা ছিল পাঁচ-ছ’জন। সবুজে ঘেরা বৈসরন উপত্যকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গিয়ে সন্ত্রাসবাদীদের কবলে পড়েন বহু পর্যটক। সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদীরা পর্যটকদের জনে জনে নাম জিজ্ঞাসা করে গুলি করেছে বলে সূত্রের খবর।
advertisement
অন্য পর্যটকদের মতো কাশ্মীর ভ্রমণে গিয়েছিলেন বীরভূম থেকে একটি দলও। তাঁরা জানালেন, তাঁদের ভয়ঙ্কর সেই অভিজ্ঞতার কথা। যাত্রা পথে কিছুটা দেরি প্রাণ বাঁচিয়ে দিল তাঁদের। বীরভূমের বোলপুরের বাসিন্দা পামোলি কাঞ্জিলাল বলেন, ‘১৬ তারিখ বোলপুর থেকে কাশ্মীরের উদ্দেশ্যে যাত্রাশুরু। শ্রীনগর থেকে বিভিন্ন সাইট সিন দেখে পৌঁছন ঘটনাস্থল পহেলগাঁওয়ের থেকে ২ কিলোমিটার আগে আরুভালিতে। সেইখানে খাওয়া-দাওয়া করে পহেলগাঁওয়ে যাওয়ার কথা। তবে হঠাৎ দেখেন পরিবেশটা কেমন যেন নির্জন হয়ে যায়।’
তখনই যে ট্যাক্সি গাড়িতে তাঁরা যাত্রা করছিলেন সেই গাড়িরচালক গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁদের বলেন, তিনি কয়েকটি ফোন করে আসছেন। সেই সময় গাড়ির চালক কয়েকটি ফোন করে জানতে পারেন সেই পরিস্থিতির কথা। তৎক্ষণাৎ গাড়ির চালক গাড়িটি ঘুরিয়ে নেন সেইখান থেকে।
পামোলি বলেন, ‘সেই মুহূর্তে একাধিক সিআরপিএফ-এর গাড়ির পাশাপাশি লাইন দিয়ে একাধিক অ্যাম্বুলেন্স এবং অপর দিয়ে হেলিকাপ্টার উড়তে থাকে। ঠিক যেন হিন্দি সিনেমার মতো অনুভব হয় তাঁদের। সেই মুহূর্তে আতঙ্কিত হলেও তাঁদের ভরসা ছিল ইন্ডিয়ান আর্মি ও সিআরপিএফ-এর উপরে।’
তিনি আরও বলেন, “এত সুন্দর কাশ্মীরের দৃশ্যের মধ্যে লুকিয়ে ছিল আতঙ্ক! আমরা সবাই জানি কাশ্মীরের ইতিহাস, তারপরও এই মোহময় পরিবেশ কেবল শুধু ভালবাসতে শেখায়। এমন রক্তাক্ত, আতঙ্কময় পরিবেশকে সামনে থেকে দেখে ও ভারতীয় সেনার তৎপরতায় আমরা সেখানেও নির্ভয়ে ছিলাম। এই ঘটনার অনেক মোড় থাকতে পারে, তবে আমার মনে হল যাঁরা পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা অর্থনৈতিক ভাবে চিন্তিত। পথে আসতে যেতে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে আপনারা না এলে আমরা কর্মহীন হয়ে পড়ব। তখন কাশ্মীরী যুব সম্প্রদায়কে সঠিক পথে রাখা বেশ অসুবিধা হবে। যাইহোক আমরা ভারতীয়রা মনে-প্রাণে কাশ্মীরের সঙ্গে আছি পরিস্থিতি ঠিক হলে আবার যেন যাবার জন্য তৈরি হই”।
সৌভিক রায়