ইতিমধ্যে জঙ্গি দমনে নেমে পড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী, চলছে লড়াই। তার কিছুটা দূরেই ছিলেন লক্ষ্মণ কুন্ডু, তাপস দাসরা। তাঁরা পহেলগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনাও দিয়েছিলেন। কিন্তু রাস্তায় ধ্বস নামার কারণে অনেকটা দেরি হয়ে যায় তাদের। ঠিক তখনই শুরু হয় এই জঙ্গি হামলা। কিছুক্ষণ পরেই খবরে ছড়িয়ে পড়ে সেই ভয়ংকর ঘটনার দৃশ্য। এরপর এই পরিবারের তরফে একাধিকবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের ফোন সুইচ অফ ছিল।
advertisement
চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শান্তিপুরের এই দুই দম্পতির পরিবার। তারা বুঝে উঠতে পারছিল না তাদের পরিবারের সদস্যরা এখন কি পরিস্থিতিতে রয়েছে। তবে পরে জানা যায় লক্ষ্মণ কুন্ডু সেখানকার একটি নতুন সিম নিয়ে বাড়িতে ফোন করেন। এবং নিজেরা সুরক্ষিত আছেন সেই কথা। বাড়িতে জানানোর পর কিছুটা স্বস্তি পায় পরিবারের লোকজন। সেই ভয়ংকর ঘটনার কথায় তুলে ধরলেন তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, যেখানে কাশ্মীরের সৌন্দর্য দেখতে সারা ভারতবর্ষের পর্যটকরা উপস্থিত হয় সেখানে নিরাপত্তাহীনতায় এই ধরনের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না, সরকারের উচিত আরও সচেতন হওয়া এবং যে ঘটনা ঘটেছে তার যথা উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া। পরিবার জানিয়েছে, ওই দুই দম্পতি বর্তমানে নিরাপদে আছেন এবং তাঁরা দিল্লির উদ্দেশে রওনাও দিয়েছেন। পাশাপাশি ফোনের মাধ্যমে লক্ষ্মণ কুন্ডুর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারা যায়, তাঁরাও যথেষ্ট আতঙ্কে ছিলেন। এই ঘটনা জানার পর তারা প্রথমে কি করবে বুঝে উঠতে পারছিলেন না। দীর্ঘক্ষণ সেখানকার এক হোটেলে আটকেছিলেন। পরবর্তীকালে পরিস্থিতি যখন কিছুটা শান্ত হয় তখন সেখান থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন তারা।
Mainak Debnath