নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দা ও ট্যুর এজেন্ট দেবাশিস সরকারের নেতৃত্বে ওই পর্যটক দলটি হামলার দিন দুপুরেই পৌঁছন পহেলগাঁওয়ে। তাঁদের গন্তব্য ছিল বৈসরণ ভ্যালি, যেটিকে ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ বলেও ডাকা হয়। ঘটনার দিন দুপুরে রাস্তাতেই সেনাদের থেকে খবর পান, ঘটেছে প্রাণঘাতী জঙ্গিহামলা। রাস্তাতেই আটকে দেওয়া হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিলে নতুন বেঞ্চে গেল মামলা, সকলের নজর ২৮ এপ্রিলে! কী হতে চলেছে?
advertisement
দাঁড়িয়ে যায় সারি সারি পর্যটকের গাড়ি। চারিদিকে তখন সেনাদের তৎপরতা। বৈসরণ ভ্যালি পহেলগাঁও মেন মার্কেট থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থিত, যেখানে সাধারণ ভাবে ঘোড়ায় চড়ে যেতে হয়। আচমকা সেনা তৎপরতা, অ্যাম্বুল্যান্স ও আর্মি ভেহিকলের যাতায়াত, মাথার উপর হেলিকপ্টার দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পর্যটকদের মধ্যেও। নিরাপত্তার খাতিরে পথ আটকে দেন সেনা জাওয়ানেরা।
জানানো হয়, হামলায় বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই স্থির হয়, আর ঝুঁকি না নিয়ে পর্যটক দলটি নিরাপদে ফিরে আসবেন। ওই পর্যটক দলে রয়েছেন সোদপুর, পানিহাটি, আসানসোল, কলকাতা-সহ নানা এলাকার মানুষ। ১৬ তারিখ রওনা দেন তাঁরা। ২৮ তারিখ কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁদের। সরকার ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের সঙ্গে যাওয়া পর্যটকদলের সদস্যরা জানান, মুহূর্তেই ঘোরার আনন্দ বদলে যায় আতঙ্কে। স্বজনদের উৎকণ্ঠাও তখন চরমে ওঠে। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে নিজেদের সুরক্ষিত থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন ওই পর্যটক দল। তবে শেষ পর্যন্ত সকলেই নিরাপদে শ্রীনগরে ফিরতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: ফাঁস হয়ে গেল তালিকা, সর্বনাশ! বাংলাদেশের ১২ জনকে খুঁজছে ইন্টারপোল! পরিচয় শুনে আঁতকে উঠবেন
তাঁদের বৈসরণ ভ্যালি যাওয়ার কথা ছিল। তবে বর্তমানে শ্রীনগরে এসেও চরম সমস্যার সম্মুখীন পর্যটকেরা বলেও জানান। ধসে বিপর্যস্ত জাতীয় সড়ক, বিকল্প রাস্তা দিয়েই চলছে যাতায়াত। সেক্ষেত্রে হোটেল থেকে গাড়ি ভাড়া আকাশছোঁয়া হওয়ায় পর্যটকদের প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরতি পথেও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। তবে সকলে সুস্থভাবে ফিরতে পারায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পর্যটকদলের পরিবারের সদস্যদের। এখন কতক্ষণে তাঁরা বাড়ি ফেরেন সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন উদ্বিগ্ন পর্যটকদের পরিবার।
Rudra Narayan Roy