আবাস যোজনার ঘর থাকা সত্ত্বেও তার ঠিকানা টালি ও ত্রিপলের ছাউনি দেওয়া এক চিলতে ভাঙ্গা ঘর। বর্ষার দিনে অথবা দূর্যোগের মধ্যে যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে তার এই ভাঙা ঘর। কেন এভাবে দিনযাপন করছেন গাছ-দাদু? কেনই বা আবাসের ঘর থাকা সত্ত্বেও ভাঙা ঘরেই তার ঠিকানা?
advertisement
২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার বাড়ি পেয়েছিলেন তিনি। তবে তার পরিবারে রয়েছে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন সদস্য। এক সঙ্গে আবাস যোজনার বাড়িতে এতজন সদস্য থাকা সম্ভব নয়। তাই দুখু মাঝির আবাসের বাড়িতে থাকে তার বড় ছেলে নির্মল মাঝি। তিনি তার পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতেই বসবাস করেন।
ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল থাকলেও আবাসের পাকা বাড়িতে বসবাস করেন না দুখু। এ বিষয়ে পদ্মশ্রী দুখু মাঝি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে তিনি আবাসের বাড়ি পেয়েছেন। কিন্তু তার পরিবার বড় হওয়ার কারণে সেই বাড়িতে তিনি থাকেন না।
আরও পড়ুন: মহাশিবরাত্রির ঠিক আগের দিনেই বুধের উদয়! হঠাত্ কপাল খুলে যাবে ৫ রাশির, দু’হাত ভরে আসবে টাকা
পরিবারের অন্যান্য সদস্য অর্থাৎ তার ছেলে , বৌমা , নাতি, নাতনিরা ওই বাড়িতে থাকেন। তার আবেদন তার পরিবারের অন্য সদস্যের নামে যদি আরও একটা বাড়ির ব্যবস্থা তাকে করে দেওয়া হয় তাহলে জীবনের শেষের সময় টুকু সে পাকা বাড়িতে বসবাস করতে পারবেন তিনি। বাঘমুন্ডির সিন্দরি গ্রামের বাসিন্দা দুখু। ছোটবেলায় তাকে এক পুলিশকর্তা তাকে বলেছিলেন পরিবেশ সচেতনতার কথা। সেই থেকেই তার মনে গাছের প্রতি প্রেম।
পরিবেশ বাঁচাতে তিনি কয়েক হাজার গাছ লাগিয়েছেন গোটা অযোধ্যা পাহাড় জুড়ে। এই গাছ লাগানোর জন্যই তার ঝুলিতে এসেছে একের পর এক সম্মান। গাছ লাগানোই যেন দুখু মাঝির নেশা ও পেশা। তবুও তার ঠিকানা এক চিলতে ভাঙা ঘর। অল্প বৃষ্টিতে এই ভাঙা ঘরে ঢুকে পড়ে জল। কোনওরকমে কষ্ট করে দিন যাপন করছেন তিনি। তার আবেদন কবে বিবেচনা করে দেখবে প্রশাসন সেই দিনের অপেক্ষায় দুখু মাঝি।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি