লালগোলা ব্লকের একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম তারানগরে বর্তমানে প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এক দশক আগেও তারানগর থেকে দুই কিলোমিটার দূর দিয়ে পদ্মা প্রবাহিত হত। তখন পদ্মা থেকে কিছুটা দূরে ছিল কালীনগর গ্রাম। এখন সেই কালীনগর পদ্মার গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। এবার তারানগরকে গিলতে আসছে পদ্মা। ধীরে ধীরে তারানগরে কয়েকটি বাড়ি পদ্মায় তলিয়ে যায়। আরও কয়েকটি বাড়ি নদী গর্ভে যাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘নারীতে দুর্গা মেলা’ ঘিরে শোরগোল, আয়োজনে শুধুই নারীরা
বর্ষা বিদায় নেওয়ার পরে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় আতঙ্ক গ্রাস করেছে তারানগরকে। বেশ কিছু পরিবার ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সমস্ত জিনিসপত্র নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গিয়েছে। ওই পরিবারগুলি নিজেরাই ঘর ভেঙে ইট, দরজা, জানালা সরিয়ে নিয়ে যায়। ভাঙনে বিপর্যস্ত হওয়ার পর এখন স্থানীয় একটি স্কুলে রাখা হয়েছে ভাঙন কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে।
তবে আশ্রয় শিবিরের রাখা পরিবারগুলি সময় মতো খাবার, সঠিক পরিমান খাবার, চিকিৎসা পরিষেবা ইত্যাদি ঠিকভাবে পাচ্ছে না বলে অভিযোগ। আশ্রয় শিবিরের ঠাঁই নেওয়া বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ৫৮ টি পরিবারের জন্য মাত্র দু’প্যাকেট চানাচুর এবং মুড়ি আনা হয়েছিল। এখানে অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, গঙ্গার ভাঙন থেকে বাঁচতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। কিন্তু তাঁদেরকে ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: আবাসনের চাঙড় ভেঙে আহত ২ পথচারী, পানিহাটিতে মারাত্মক অভিযোগ
যদিও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, লালগোলার ভাঙনের জেরে বিপর্যস্তদের নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। তাঁদের জন্য সমস্ত রকম খাবার সহ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।