শহর কলকাতা যখন বৃষ্টিতে ডুবছে। দুর্গাপুজোর আগে জলস্তর বৃদ্ধিতে হাঁসফাঁস করছে তিলোত্তমা। ঠিক তখন গভীর রাতে তলিয়ে যায় পরপর ১৩টি বাড়ি। ঘুমের ঘোরে আতঙ্কে, তাড়াহুড়োয় বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। প্রায় ২০টি পরিবারকে একটি স্কুলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বিকেলে আরও চারটি পরিবারকে সরিয়ে আনা হয়। এমনকি জানা যাচ্ছে, ভাঙনের জেরে আগামীদিনে ভৌগলিক ম্যাপ থেকে মুছে যেতে চলেছে আস্ত একটা গ্রাম!
advertisement
আরও পড়ুনঃ জঞ্জাল পরিষ্কার করছেন পুরসভার চেয়ারম্যান! শান্তিপুরে বেনজির ছবি, কতদিন চলবে এই সাফাই অভিযান?
ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষজন জানিয়েছেন, লালগোলা ব্লকের একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম তারানগর। এই তারানগরের মাটিতে জন্মেছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সেচ দফতরের প্রাক্তন মন্ত্রী সামায়ুন বিশ্বাস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মইদুল ইসলাম এই তারানগরের ভূমিপুত্র। বর্তমানে এই গ্রামে প্রায় ৪০০ পরিবারের বাস।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এক দশক আগেও তারানগর থেকে দুই কিলোমিটার দূর দিয়ে পদ্মা প্রবাহিত হত। তখন পদ্মা থেকে কিছুটা দূরে ছিল কালীনগর গ্রাম। বর্তমানে এই কালীনগর গ্রাম নদীগর্ভে। এবার তারানগরকে গিলতে ক্রমশ এগিয়ে আসছে পদ্মা। বর্ষার ভরা নদীর উথাল ঢেউ পাড়ে আছাড় খেয়ে পড়তেই নদীতে খসে পড়ছে মাটির চাঙর। গ্রামবাসীদের চোখে ঘুম নেই।
এখন নিজের শেষ সম্বলটুকু সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। শেষ ইটটুকুও যদি রক্ষা করা যায়! সেই আশায় ভেঙে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। কারণ যেকোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে আরও বেশ কিছু বাড়ি-ঘর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান জানিয়েছেন, আমরা বারবার সংসদে জানিয়েছি। ভাঙন রোধের জন্য সরকারিভাবে কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে লাগাতর জল ছাড়ার কারণেই এই জলস্তর বৃদ্ধি। সেই কারণেই ভাঙনের গ্রাসে আস্ত একটা গ্রাম।