নদী ভাঙনের কারণে আতঙ্কে নিজের বাড়ি ভেঙে অন্যত্র চলে যাওয়ার চিন্তাভাবনা নিয়েছেন বাড়ির মালিক। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই গ্রামের অনেকেই বদলে নিয়েছেন তাঁদের বাসস্থান। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের নসরতপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কিশোরীগঞ্জ এলাকাটি নদী ভাঙনের কবলে পড়া একটি গ্রাম।
নসরতপুর পঞ্চায়েতের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা ভাগীরথীর অপর পাড়ে অবস্থিত প্রত্যন্ত একটি গ্রাম এই কিশোরীগঞ্জ। এই এলাকার বেশিরভাগ মানুষই কৃষি কাজের উপর নির্ভর করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। সেই কৃষি জমিও একটু একটু করে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাসীদের কথায়, একসময় এই এলাকায় শতাধিক পরিবার বসবাস করতেন। তবে শুধুমাত্র নদী ভাঙনের ফলে অনেকেই সেখান থেকে সরে গিয়েছেন।
advertisement
একইরকম ঘটনা দেখা গেল আবারও। কিশোরীগঞ্জের এই ভেঙে ফেলা বাড়ির বাসিন্দা মালতি ব্যানার্জী বলেন, বাড়ি ভেঙে যাচ্ছে কী আর করব। তাই ভেঙে চুরে এখন রাস্তাতেই রাখতে হচ্ছে সব। কোথায় যাবেন, কী করবেন জানেন না।
বর্ষার মরশুমে নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। একে একে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে চাষের জমি থেকে শুরু করে বসতবাড়ি। যাদের আর্থিক অবস্থা ভাল তাঁরা অন্যত্র চলে গিয়েছেন বা যাচ্ছেন। যাঁদের সামর্থ্য নেই তাঁদের বিপদ সংকুল পরিস্থিতির মধ্যে জীবন হাতে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন- তরুণ প্রজন্মর মিষ্টিতে ‘না’, এন্ট্রি নিয়েছে পিৎজা-পাস্তা, মিষ্টি বিক্রি খাদের মুখে
কিশোরীগঞ্জের এক বাসিন্দা বলেন, এর আগে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। নদী থেকে সামান্য দূরত্বেই আমার বাড়ি, সেটাও কোনওদিন ভেঙে যাবে। সরকারের কাছে হাত জোড় করে অনুরোধ করছি যেন এই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে।
গ্রামের সকলেই চাইছেন যেন প্রশাসনের তরফে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হয়। প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই এই এলাকা পরিদর্শন করেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক আয়েশা রাণী এ সহ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। অতি দ্রুত কাজ শুরু হবে বলেই জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীরাও এই সমস্যা সমাধানের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী