আরও পড়ুন: কাঁটাতরের বাধা টপকে জিরো পয়েন্টে বাবাকে শেষ দেখা দেখল মেয়ে
অতীতের বনভোজন মানেই ছিল শতরঞ্চি পেতে সবজি কাটা, বাটনা বাটা, আড্ডার সঙ্গে চা-কফিতে চুমুক দেওয়া। তার সঙ্গে ব্যাডমিন্টন, লুডো, গানের লড়াই, ক্রিকেট খেলা। বনভোজনের এই চেনা আনন্দটা আজকের পিকনিকে একপ্রকার উধাও হয়ে গিয়েছে। এখন পিকনিক মানে ক্যাটারারদের হাতে সব দায়িত্ব তুলে দিয়ে ঝাড়া হাত-পা হয়ে সেলফি তোলা। পাশাপাশি বদল হয়েছে বনভোজনের মেনুতেও। আগে পিকনিকের মেনুতে দেখা যেত মুড়ি , চপ, বেগুনি, বাঁধাকপির বড়া বা মটরশুটির কচুরি, আলুর দম। দুপুরে গরম ভাতে দেশি মুরগির মাংস, কচি পাঁঠার ঝোল। কিন্তু এখন সে সব উধাও। এখন জলখাবারে জায়গা করে নিয়েছে নানান স্যুপ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, স্যান্ডউইচ সহ নানান রকমারি ব্রেকফাস্ট। আর দুপুরের মেনুতে ফ্রায়েড রাইস, পোলাও, মটন কষা, ভেটকি পাতুড়ি, ফ্রুট চাটনি, নানান ফ্লেভারের আইসক্রিম। এখন আর বনভোজনের বাঙালিয়ানা বিষয়টাই নেই। সময়ের সঙ্গে, সঙ্গে বদলে গিয়েছে পিকনিকের ছবিটাও।
advertisement
এই বিষয়ে পুরুলিয়া শহরের একটি ক্যাটারারের কর্ণধার বলেন, পিকনিকের মরশুমে তাঁদের ব্যবসা যথেষ্ট ভাল চলে। চলতি শীতে ইতিমধ্যেই কয়েকটা পিকনিকের কাজ হয়ে গিয়েছে। আরও তিন থেকে চারটে অগ্রিম বুকিং নেওয়া হয়েছে। নতুন বছরের প্রথম দিনেও বরাত ছিল। এখন আর কেউ পিকনিকে গিয়ে কোনওরকম হ্যাপা রাখতে চান না। ছুটির দিনে পিকনিক হলেও মানুষজনের ব্যস্ততার শেষ নেই। সেই কারণেই পিকনিকেও ক্যাটারিং সার্ভিস অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এই বিষয়ে পুরুলিয়া শহরের এক বাসিন্দা বলেন, আগে পিকনিক মানেই ছিল একটা অন্যরকম আবেগ। আগে পিকনিক হলে তার জন্য এক মাস ধরে চলত প্ল্যানিং। পাড়া-পড়শিরা মিলে করত রান্নাবান্না। তারপর একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া। অন্যরকম মজা হত সেই সময়। এখন সবটাই বদলে গিয়েছে। এখন পিকনিক মানে যাওয়া-আসা-খাওয়া দাওয়া ও ফটো সেশন। বনভোজনের সেই মজাটাও আর আগের মত নেই।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি






