বর্তমান সময়ে শাকসবজি থেকে ফলমূল সবেতেই যথেচ্ছ ভাবে কীটনাশক ও সারের ব্যবহার চলছে। কৃষকেরা দ্রুত ফলন বাড়াতে ও পোকার হাত থেকে ফসলকে রক্ষা করতে সার এবং কীটনাশকের ব্যবহার করছে। আর সেই ফসল খাদ্য রূপে গ্রহণ করছে মানুষ। ফলে এই সার এবং কীটনাশকের রাসায়নিক প্রভাব সাধারণ মানুষের শরীর স্বাস্থ্যে পড়েছে। সার ও কীটনাশকের খারাপ গুণ মানুষের শরীরে নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি করছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে বন্ধ্যাত্ব থেকে দেহের বিকাশ, ক্যান্সার ও ত্বকের নানা ধরনের রোগের কারণ কীটনাশক।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রামীণ অর্থনীতির হাল ফেরাতে বিরাট উদ্যোগ, এবার বিশেষ এক ধরনের জিনিষ চাষে জোর দিচ্ছে প্রশাসন
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমান সময়ে সরকার উদ্যোগী হয়েছে অর্গানিক পদ্ধতিতে শাকসবজি উৎপাদন বাড়াতে। জোর দেখা হয়েছে ইন্টিগ্রেট ফার্মিং বা নিবিড় কৃষি খামার পদ্ধতিতে চাষবাস। নিবিড় কৃষি খামার পদ্ধতি একটি পুরানো চাষবাসের উপায়। একই জায়গায় হ্যাচারি থেকে গোটারি ভেজিটেবল ফার্মিং থেকে নানা ধরনের চাষবাস হয়ে থাকে। এর ফলে অর্গানিক শাক সবজি সহ নানা ফসল উৎপন্ন হয়। ইন্টিগ্রেড ফার্মিং পদ্ধতিটি কীটনাশক ও সার ছাড়াই ফসল উৎপাদন হচ্ছে। সবজি চাষে ব্যবহার করা হচ্ছে গোবর থেকে ভার্মি কম্পেস্ট সার। আবার কীটনাশক হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে গৃহপালিত পশুর ইউরিন। শাকসবজি চাষের উৎপাদন যেমন বজায় রয়েছে তেমনই খাদ্যগুণ অপরিসীম।
আরও পড়ুন: জানলে অবাক হবেন, দেশ স্বাধীনের আগেই দু’বছর স্বাধীনভাবে চলেছিল বাংলার এই এলাকা! বাকিটা ইতিহাস
এ বিষয়ে সিএডিসি তমলুক প্রোজেক্টের ডেপুটি অফিসার জানান, “নিবিড় কৃষি খামার পদ্ধতি একটি পুরানো চাষবাসের পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন হয় অর্গানিক ভাবে। যা মানুষের শরীরে ক্ষতি করে না। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সরকারি উদ্যোগে এই চাষবাস শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে কম খরচেই খাদ্যগুণসম্পন্ন শাকসবজি উৎপাদন করা সম্ভব।” পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সিএডিসি প্রোজেক্টের ভগবানখালিতে ৩১ একর জায়গায় অর্গানিক পদ্ধতিতে শাক সবজি উৎপাদন চলছে।
সৈকত শী