ভাঙা দেওয়াল, নিস্তব্ধ অডিটোরিয়াম আর ধুলো জমা পরিত্যক্ত চেয়ারগুলো যেন নির্বাক ভাষায় বলে চলে অতীতের গৌরবগাথা। যেখানে একসময় মানুষের আবেগ, আনন্দ আর স্বপ্ন একসঙ্গে মিলিত হত, আজ সেখানে কেবল শূন্যতা আর বিস্মৃতির ছায়া।
আরও পড়ুনঃ সরষের ক্ষেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাজা সকেট বোমা! দেখে চক্ষু ছানাবড়া, উদ্ধারে ছুটল পুলিশ
advertisement
পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তি বিষ্ণু চরণ মেহেতা ও সুকুমার মণ্ডল আক্ষেপের সুরে বলেন, “বিধান টকিসকে আজ আমরা গভীরভাবে মিস করি। আজকের দিনে দাঁড়িয়েও এখনও একটা জায়গা আছে সিনেমা শিল্পকে আবার সিনেমা হলের মাধ্যমেই বাঁচিয়ে রাখার। আজকের ব্যস্ত জীবনে মানুষের বিনোদনের অভাব প্রকট, আর সেই বিনোদনের সঠিক ঠিকানা হতে পারে শুধুমাত্র সিনেমা হলই।”
আরও পড়ুনঃ মুন্সিদের ‘দাদাগিরি’! বর্ধিত মজুরি থেকে বঞ্চিত জেলার বিড়ি শ্রমিকরা, সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে
একসময় সন্ধ্যা নামলেই সিনেমা দেখার উত্তেজনায় মুখর হয়ে উঠত গোটা এলাকা। টিকিট কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন, চা-বাদামের দোকানে জমে ওঠা আড্ডা, আর হলের ভিতরে দর্শকদের প্রাণবন্ত উচ্ছ্বাস, সব মিলিয়ে বিধান টকিস ছিল শহরের সামাজিক জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এটি শুধু একটি সিনেমা হল ছিল না, ছিল একটি সময়ের সাক্ষ্য, একটি প্রজন্মের নস্টালজিয়া। তাই বিধান টকিস আজ আর শুধু একটি বন্ধ সিনেমা হল নয়, এটি রঘুনাথপুর শহরের ইতিহাসে হারিয়ে যেতে বসা এক মূল্যবান স্মৃতিচিহ্ন। এখনও নীরবে অপেক্ষা করে আছে নতুন করে প্রাণ ফিরে পাওয়ার আশায়।





