সম্প্রতি, অঙ্গদান এবং দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেদিনীপুর শহরের এক অধ্যাপিকা। যা বর্তমান সমাজে এক সাহসী পদক্ষেপ। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা, রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয় পুষ্টিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপিকা শ্রাবন্তী পাইন। যার পড়াশোনা এবং চর্চা পুষ্টি বিজ্ঞান নিয়ে। দীর্ঘ প্রায় আট বছর ধরে শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত তিনি।
আরও পড়ুনঃ আরও বিপাকে কাউন্সিলর মৃন্ময় দাস! ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে হুমকির অভিযোগ রঞ্জিত কর্মকারের পরিবার
advertisement
প্রায় এক দশক ধরে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের গড়ে তুলেছেন সমাজের এক দেওয়াল হিসেবে। এগিয়ে দিয়েছেন সমাজের মূল স্রোতে। তবে নিজেই নিয়েছেন নিজের জীবনে এক সাহসী পদক্ষেপ। তার মৃত্যুর পর শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এবং সম্পূর্ণ দেহদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়াও সম্পন্ন। তিন মাস আগে দেহ দান এবং অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবেদন করেছিলেন তিনি।
অধ্যাপিকার বক্তব্য, দৈহিক জীবনে শুধুমাত্র পড়াশোনা বা সমাজের হয়ে কাজ করা নয়, যে মানুষ সামান্য একটি অঙ্গের জন্য প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, নিজের মৃত্যুর পরেও তাদের পাশে দাঁড়ানর জন্য এই সিদ্ধান্ত।
মেদিনীপুর কুইজ কেন্দ্র সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতায়, এই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজা নরেন্দ্র লাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয় তথা গোপ কলেজের এই অধ্যাপিকা। সংগঠনের সদস্য তথা শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত বলেন, অধ্যাপিকার এই সাহসী সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। তিনি শুধু একজন শিক্ষিকা নয়, প্রকৃত সমাজ গড়ার কারিগর। মৃত্যুর পর নশ্বর দেহকে প্রথাগতভাবে পুড়িয়ে ফেলা নয়, মৃত্যুর পরও তিনি বেঁচে রইবেন অনেকের শরীরে। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ সমাজের কাছে দৃষ্টান্ত।
তিনি যেমন একদিকে অধ্যাপিকা তেমনই অন্যদিকে ডায়েটিসিয়ান। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোর পাশাপাশি মানুষকে সুস্থ রাখতে দেন টিপস। তবে সমাজকে সুস্থ রাখতে এদিন তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলেন নিজের দেহদান এবং অঙ্গদানের। শিক্ষিকার এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।






