৭ মে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে হামলা চালিয়ে ভারতীয় বিমান বাহিনীর সদস্যরা নিরাপদে ফিরে আসেন। এর পরের দিন থেকেই ভারত-পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর গোলাগুলির লড়াই শুরু হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পরাক্রমশালী সেই হামলায় পাকিস্তানের একাধিক কাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
advertisement
নিজের অদম্য ইচ্ছে ছিল দেশের প্রতি কাজ করবেন। আর সেই মতো বিএসএফে যোগদান করেন শুভজিৎ। সম্প্রতি অপারেশন সিঁদুরে অংশ গ্রহণ করতেই মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের তরফে বিশেষ সম্মাননা জানানো হল তাঁকে। ১২৫ বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল শুভজিৎ রায়কে। সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনিক কনফারেন্স হলে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বহরমপুরের বাসিন্দা ওই বিএসএফ জওয়ান শুভজিতের হাতে ফুলের তোড়া ও উপহার তুলে দেন মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র।
জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ওই সংবর্ধনা পেয়ে আপ্লুত শুভজিৎ বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুর-এ অংশ নিতে পেরে যেমন ভাল লাগা রয়েছে, তেমনি এ দিনের সংবর্ধনা পেয়েও আমি খুশি।’ শুভজিৎ বলেন, ‘৮-৯ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে আমাদের কমান্ডিং অফিসার দ্রুত তৈরি হয়ে সাম্বা ফ্রন্টে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন। যুদ্ধক্ষেত্রে আমরা বারবার নিজেদের অবস্থান বদলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উপর মর্টার দিয়ে হামলা করছিলাম। তবে তার আগে থেকেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বিনা প্ররোচনায় আমাদের দিকে ক্রমাগত গুলিবর্ষণ করে চলেছিল।’
শুভজিৎ বলেন, ‘ভারতীয় সেনাবাহিনীও পাকিস্তানের গোলাগুলির যোগ্য জবাব দিচ্ছিল। সেই সময় সাম্বা এলাকায় একটি পয়েন্ট থেকে পাকিস্তানিদের গোলাগুলি খুব বেশি চলছিল। সিনিয়র অফিসাররা পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদীদের ওই অংশের যথাযথ অবস্থান আমাদের বলে দেওয়ার পরই আমরা সেখানে ঘাতক হামলা চালাই। পরের দিন জানতে পারি আমাদের হামলায় ৭-৮ জন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী মারা গিয়েছে। আমাদের মুখোমুখি হতে না পেরে ওই সেক্টরে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সদের যে জওয়ানরা ছিল তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। গত ২০ দিন আগে আমি ছুটিতে বাড়ি এসেছি। শুনেছি এখনও পাক রেঞ্জার্সরা ওই পোস্টে ফিরে যেতে পারেনি। সেটির এতই খারাপ অবস্থা আমরা করে দিয়েছি।’
শুভজিতের স্ত্রী রিয়া রায় জানিয়েছেন, আমি খুব আনন্দিত। আমার স্বামী অপারেশন সিঁদুরে অংশগ্রহণ করেছিল। আমি ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে সাহস দিয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রী হিসেবে আমি গর্বিত।
কৌশিক অধিকারী





