সব মিলিয়ে আম জনতার মুড়ি ও গরম চপ-পিঁয়াজি খাওয়াবন্ধ হওয়ার পথে। দোকানে দোকানে ক্রেতার ভিড় পাতলা হয়ে যাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। বিকেল থেকে সন্ধে চপ মুড়ি কিনতে ভিড় লেগে থাকত দোকানে। তুঙ্গে উঠত ব্যবসায়ীদেরও ব্যস্ততা। এই চিত্র কয়েকদিন যাবৎ উধাও! বিভিন্ন বাজার থেকে শুরু করে চপ দোকান গুলিতে, বা কুলপি রোডের পাশে মুদি দোকানগুলিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা থেকে শুরু করে ৯০ টাকা কিলো। জয়নগরের দক্ষিণ বারাসত ও বহড়ু বাজার কিংবা গঞ্জের বাজারে একই অবস্থা। বাজার করতে এসে হাঁসফাঁস অবস্থা জনতার। ভাজাভুজির দোকানগুলিতে চপের চাহিদা থাকলেও জোগান দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজি তো মিলছেই না।
advertisement
আরও পড়ুন: শরীরের এই সব জায়গায় টিকটিকি পড়লে কী হয় ? তুমুল বদলে যাবে ভাগ্য! জানুন শুভ-অশুভ যোগ!
এক দোকানদার বলেন, চপ ৬ থেকে ৭ টাকায় বিক্রি হতো। পেঁয়াজি বেচতাম ৭ থেকে ৮ টাকায়। বিক্রিবাটা ভালই চলছিল। কিন্তু কয়েকদিন যাবৎ পেঁয়াজের দাম যেভাবে চড়ে গিয়েছে তাতে চপের জোগান দিতে পারছি না। পিঁয়াজির দাম বেঁধে দিয়েছিলাম ১০ টাকা, কিন্তু লোকজন বিশেষ একটা কিনছে না। তাই পিঁয়াজি তৈরি আপাতত বন্ধই রেখেছি। একই অবস্থা আর এক ব্যবসায়ীর। বলেন, পিঁয়াজের দাম না কমলে পিঁয়াজি তৈরি করা যাবে না। কোনওক্রমে চপ, বেগুনিই তৈরি হচ্ছে। কিন্তু চপ আগে যে পরিমাণে তৈরি করতাম, তাও অনেক কমে গিয়েছে। বাজারে ৮০ টাকা কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কমানোর ব্যাপারে প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
সুমন সাহা