হাবড়া (Habra) এক নম্বর ব্লকের কুমড়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার টুনিঘাটায় বছর তিন আগে দুস্থ ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে শুরু করা হয় এক টাকার পাঠশালা। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষ ও হতদরিদ্র মানুষের কথা ভেবেই শুরু হয় এই পাঠাশালা । যেখানে বেশির ভাগ শিশুরাই পাড়ুই সম্প্রদায়ের মানুষ । যারা বেশিরভাগ সময় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন । ফলে ছেলে মেয়েরাও মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়ত এলাকার বৃহৎ নাংলাবিল বিলে । স্কুলে বা পড়াশোনা করতে চাইতো না অনেকেই ।
advertisement
দেখুন স্কুলের ভিডিও: পিছিয়ে পড়া শিশুদের শিক্ষাদানে চলছে এক টাকার পাঠশালা
শুধু তাই-ই নয় , মেয়েরাও বাড়ি বাড়ি কাজ করত পরিচারিকার । মূলত তাদের কথা মাথায় রেখেই শুরুতে ১৮ জন ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে পথ চলা শুরু হয় এই পাঠশালার । পড়াশোনা ফাঁকে যেমন সাধ্যমতো টিফিন দেওয়া হয় । তেমনি জামা কাপড় , ব্যাগ ছাড়াও আবৃত্তি ,তবলা ,নৃত্য ,গান ,অংকন নাটকও শেখানো হয় । সকাল হলেই এক টাকার পাঠশালায় যাওয়ার উৎসাহ বাড়ছে প্রতিদিন ।
আরও পড়ুন: চুল ও নখ কাটার পর যেখানে সেখানে ফেলে দেন? বিপদ ডেকে আনছেন নিজেই
প্রতিদিন বাড়ছে ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা । বর্তমানে পাঠশালায় ৭৬ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে । তাদের পড়ানোর জন্য এগিয়ে এসেছেন এলাকারই কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকারা। শুধু তাই-ই নয় , শিশুদের শিক্ষার আলোয় আনতে নিরক্ষর মায়েদেরকেও সাক্ষর করে তুলতে চলছে নিরক্ষরতা দূরকরন অভিযান । বাঁধাধরা পুঁথিগত শিক্ষায় নয় পাশাপাশি সাহিত্য ও সংস্কৃতি দিক থেকেও এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন এক টাকার পাঠশালার শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। প্রশংসা করা হচ্ছে একটাকার পাঠশালার।
রুদ্র নারায়ন রায়