আরও পড়ুন: ফুটবল খেলতে গিয়ে চলে গেল প্রাণ! ৯ বছরের ছেলের মাথায় ভেঙে পড়ল গোল পোস্ট! মর্মান্তিক ঘটনা
পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা-ওড়িশা সীমানা এলাকা দাঁতনের শরশঙ্কা এলাকায় রয়েছে এই বৃহত্তম পুষ্করিণী। যা শুধু জেলার মান, সুখ্যাতি বাড়িয়েছে তা নয় সারা বাংলার এক অন্যতম প্রসিদ্ধ স্থান। এ পুষ্করিণীর অবস্থান এবং ইতিহাস নিয়ে নানান মত থাকলেও এত বিশাল দিঘি বা পুকুর আগে হয়ত আপনি কোথাও দেখেননি। এক প্রান্তে দাঁড়ালে অপর প্রান্তে চোখ যাওয়া মুশকিল। বেশ কয়েকশ মিটার দীর্ঘ এই দীঘি বা পুস্করিণী। বিশালাকার জায়গা জুড়েই অবস্থিত।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫১ বছরের অপেক্ষা শেষ, অভিষেকের উদ্যোগে অবশেষে মহেশতলার মানুষের মুখে চওড়া হাসি
ইতিহাস গবেষকদের থেকে নানান মত পাওয়া গেলেও জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম এই দিঘী বা পুষ্করিণী। বেশ কিছু ইতিহাস গবেষক মনে করেন, গৌড় রাজ শশাঙ্কের সময়ে খোঁড়া হয়েছিল এই পুষ্করিণী। কেউ কেউ আবার ওড়িশার এক রাজার সঙ্গে মিল খুঁজেছেন। তবে আয়তাকার এই সুবিশাল দিঘির খোঁজ হয়তো অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। বেশ কয়েকশ ডেসিমাল জায়গা জুড়ে এই বিশাল দিঘি। তবে বর্তমানে এই দিঘীকে কেন্দ্র করে পর্যটনের নতুন ডেস্টিনেশনের খোঁজ করছেন স্থানীয় মানুষ, তদবির করছে বিধায়ক থেকে প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তবে বর্তমানে কচুরিপানা এবং আগাছায় ঢেকে গিয়েছে এই বিশাল পুষ্করিণী। ইতিমধ্যেই এই পুষ্করিণীকে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। বরাদ্দ হয়েছে অর্থ।
জানা যায়, এই পুকুরের চারপাশে রয়েছে একাধিক ছোট-বড় পুকুর। শরশঙ্কা দিঘীকে কেন্দ্র করে যদি পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠে তবে আগামীতে এই গ্রামীণ এলাকার আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে উন্নতি হবে। তবে সারা বাংলার মধ্যে এত বড় দিঘী আপনি জানেন কি?