অর্থাৎ আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফের জেলেই থাকবেন অনুব্রত। এদিন শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র দাবি করেন, এখন যদি অনুব্রত মণ্ডলের জামিন হয়ে যায় তাহলে তদন্ত একদমই রুখে যাবে। নিজের প্রভাব খাটিয়ে ফের তদন্তে অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারেন অনুব্রত। যদিও বীরভূম জেলার আইনজীবী অনুপম আঢ্য এবং আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় আসানসোল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: 'এত অবহেলা কেন?' বাগুইহাটি কাণ্ডে ফুঁসে উঠলেন মমতা! প্রশ্নের মুখে সিপি
তাঁরা তৃণমূল নেতার জামিনের জন্য সওয়াল করেন। কিন্তু দু’পক্ষের সওয়াল–জবাব শুনে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এদিন ফের একবার অনুব্রতকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করে সিবিআই। আদালতে সিবিআই জানায়, গরুর হাট থেকে গরু পাচার হয়ে যেত বাংলাদেশ সীমান্তে। তার পুরো তথ্য দেওয়া হয়েছে সিডিতে। এমনকী শুল্ক দফতর কোনও পদক্ষেপ করলে স্থানীয়রাই বিভিন্নভাবে বাধা দিতেন। আর এই পুরো কাজটাই হতো অনুব্রতের নির্দেশে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রীর বাড়িতে ডাক পড়ল চাবিওয়ালার, কলকাতায় মলয় ঘটককে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর
যদিও অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী ফারুক রেজ্জাক পাল্টা বলেন, ‘সায়গল যে টাকা তুলতেন, তাতে আমার মক্কেলের কী দোষ? তিনি কি বলতেন টাকা তুলতে? তার কি কোনও প্রমাণ আছে সিবিআইয়ের কাছে? আমার মক্কেল অসুস্থ। তাই তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।’ আর সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র বলেন, ‘সিডিতে প্রমাণ দেওয়া আছে।’