গত রবিবার সন্ধ্যায় আগরপাড়ায় খুন হন পানিহাটি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্ত৷ এই হত্যাকাণ্ডের পরদিনই অনুপম দত্তকে গুলি চালনায় অভিযুক্ত শ্যুটার শম্ভু পণ্ডিতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ ধৃত শম্ভু পণ্ডিতকে জেরা করে এবং তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ট্রেনের টিকিটের সূত্র ধরে পূর্ব বর্ধমানের কালনার সিমলান ও আগ্রাহাটি গ্রামে হানা দেয় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট ও খড়দহ থানার বিশেষ দল৷ সেখান থেকে শম্ভু পণ্ডিতের মাসির ছেলে সঞ্জীব ও প্রসেনজিৎ পণ্ডিতকে আটক করে পুলিশ৷
advertisement
আরও পড়ুন: জেলায় ঘুরতে হবে পুলিশকর্তাদের, দোলেও থাকতে হবে সাবধান, নির্দেশ মুখ্যসচিবের
দু' জনকে আটক করে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা প্রধান অজয় ঠাকুরের দফতরে নিয়ে গিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ এর পরেই সঞ্জীব পণ্ডিতকে গ্রেফতার করা হয়৷ জানা গিয়েছে, সঞ্জীব পণ্ডিত আগে পানিহাটি পুরসভায় ঠিকাদারির কাজ করত৷ যদিও এখন সে আর ওই কাজ করে না৷
আরও পড়ুন: তবে কি 'কাকা ভাইপো'র বিবাদ মিটল? আশায় বুক বাঁধছে তৃণমূল!
এ দিকে নিহত কাউন্সিলর অনুপম দত্তের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত বলেন, পুলিশি তৎপরতায় তিনি খুশি হলেও এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে বলেই তিনি মনে করেন৷ এলাকার পরিত্যক্ত মাঠ দখলকে কেন্দ্র করেই তাঁর স্বামীকে খুন হতে হয়েছে বলে অভিযোগ মীনাক্ষীদেবীর৷ সিআইডি তদন্তেও আস্থা রাখছেন নিহত কাউন্সলিরের স্ত্রী৷
অনুপম দত্তের হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন পানিহাটিতে মোমবাতি মিছিল করেন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা৷ মিছিলে হাঁটেন মীনাক্ষীদেবীও৷
Arun Ghosh