দু' দিন আগেই বর্ধমানের পাঞ্জাবিপাড়া এলাকা থেকে সৌরেন্দ্র নারায়ণ রায় নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সে কোনও রকম ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই বাড়ি থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার ওষুধের কারবার চালাচ্ছিল। সরকারি ওষুধ সে বিভিন্ন নার্সিংহোমে সরবরাহ করতো বলে অভিযোগ। তাকে গ্রেফতারের পর জেরা করে দেবদাসের কথা জানতে পারে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাইক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে তিন বন্ধুর মৃত্য়ু বহরমপুরে! ফোন করতেই দুঃসংবাদ পেল পরিবার
advertisement
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরে দেবদাসের কাপড়ের দোকান রয়েছে। কাপড়ের বস্তায় সরকারি ওষুধ ভরে সে বিভিন্ন জায়গায় পাঠাত। সরকারি বিভিন্ন দামি ওষুধ প্রথমে জেলার গোডাউনে আসত। সেখান থেকে তা বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হতো। সেই সময় তা বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছিল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা জানিয়েছেন, ধৃতদের কাছ থেকে কয়েকটি হিসেবের খাতা পাওয়া গিয়েছে। তা থেকে জানা যাচ্ছে, একাধিক হাত বদল হয়ে ওষুধ, সিরিঞ্জ, সূচ সহ বিভিন্ন সামগ্ৰী সৌরেন্দ্রর কাছে পৌঁছত। পরে সে তা বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করত। তার নির্দিষ্ট কয়েকজন ক্রেতা সবচেয়ে বেশি ওষুধ কিনেছিল। তাদের নার্সিংহোমে সরকারি ওষুধেই চিকিৎসা করা হতো।
বর্ধমানে ২০ থেকে ২৫টি নার্সিংহোমে এই ওষুধ গিয়েছে। এ ছাড়া বীরভূমের মুরারইয়ের একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তার বড় ক্রেতা ছিল। আগে সে বাঁকুড়ার কয়েকটি নার্সিংহোমে সরকারি ওষুধ সরবরাহ করেছে। সরকারি হাসপাতাল থেকে দেবদাসের মতো আরও কয়েকজন সৌরেন্দ্রর কাছে ওষুধ পৌঁছে দিত। পুরো চক্রের সন্ধান পেতে ধৃতদের বিস্তারিত জেরা করা হচ্ছে।
