রামনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দুর্গাপুজো প্রতিবছরেই জমকাল আয়োজনে বিশেষভাবে পরিচিত। তবে এ বছর তাদের আয়োজনে রয়েছে এক অভিনব উদ্যোগ। গ্রামীণ শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় রাজস্থানের প্রাচীন রাজবাড়ির প্রতিরূপ তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। প্রাচীন রাজকীয় স্থাপত্যের গাম্ভীর্য, রঙের কারুকাজ এবং শিল্পের নিপুণতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন শিল্পীরা। দূর থেকেই দর্শকদের চোখে পড়বে রাজস্থানের রাজবাড়ির মত রাজকীয় সাজসজ্জা।
advertisement
এ বছরের পুজোর অন্যতম আকর্ষণ পিতলের তৈরি দুর্গা প্রতিমা। সাধারণত মণ্ডপে মাটি বা ফাইবারের প্রতিমা দেখা গেলেও, এই বিশেষ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে দর্শকদের টানবে। আয়োজকদের মতে, প্রতিমার আভিজাত্য যেমন রাজস্থানের রাজকীয় আবহ তৈরি হবে, তেমনই ভক্তদের মনে এক ভিন্নরকম শ্রদ্ধা জাগাবে। পুজোর বাজেট প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মণ্ডপ, প্রতিমা, আলোসজ্জা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খরচ। স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্যই এমন আড়ম্বরপূর্ণ পরিকল্পনা বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। পুজোর সময় দিঘা ভ্রমণে আসা বহু পর্যটক এই মণ্ডপ উপভোগ করবেন বলে আশা আয়োজকদের।
বর্তমানে মণ্ডপ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শিল্পীরা দিনরাত এক করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আলোকসজ্জা এবং শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা সম্পূর্ণ হলে রাজস্থানের রাজবাড়ি যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পাবে রামনগরের বুকে।
রাজস্থানের রাজবাড়ির আদলে মণ্ডপ, সঙ্গে পিতলের প্রতিমা—সব মিলিয়ে রামনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দুর্গাপুজো এ বছর এক বিশেষ মাত্রা পেতে চলেছে। স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি দিঘা যাওয়া পর্যটকদের কাছেও এই আয়োজন নিঃসন্দেহে স্মরণীয় হয়ে উঠবে। ঐতিহ্য, শিল্প এবং আভিজাত্যের এক অনন্য মেলবন্ধন ঘটবে এই পুজো মণ্ডপে, যা মনে রাখার মত অভিজ্ঞতা দেবে প্রত্যেক দর্শনার্থীকে।