তিনশো বছরেরও বেশি পুরোনো এই গেঁড়ি বুড়ির মেলা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার দাসপুরের বলিহারপুরে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন দিয়ে বসে মেলাটি। প্রায় তিনশো বছর আগেকার এই মেলা ঘিরে নানান লোককথা প্রচলিত আছে।
আরও পড়ুনঃ ৩৫০ বছরে দেবী রূপের বদল নেই! ভেঙেছে নাট মন্দিরের একাংশ, তবু রীতিনীতি মেনেই পটেশ্বরীর পুজো
advertisement
গেঁড়ি বুড়ি ছাড়াও এখানে পূজিত হন বিশালাক্ষী, শীতলা, মনসা, পঞ্চানন্দ, মঙ্গলচণ্ডী-সহ অন্যান্য দেবদেবী। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন থেকেই শুরু হয় মেলা। এই মেলা এক অভিনব মেলা। যেখানে আপনি পেয়ে যাবেন বাড়ির দরকারি সমস্ত রকম জিনিসপত্র। এরকম মেলা সাধারণত খুব কম হয়। যেখানে মাছ ধরার সরঞ্জাম যেমন গাঁতি জাল, ঘাট গাঁতি, মরুলা গাঁতি, লাফাতে পাতার জাল, ফেটা জাল, বিভিন্ন মাপের ছিপ, হুইল ডোর বঁড়শি তথা মাছ ধরার কাঁটা, জাল, সুতো পাওয়া যায়।
এছাড়াও মিলবে হাতের বানান বেতের জিনিস যেমন ধুচুনি খালুই চ্যাঙারি, ঠ্যাকা, তালপাতার পেখ্যা, কুলো, চালুনি, চুবড়ি, ঝড়া। মনোহারি জিনিস, খেলনা। পাশাপাশি রকমারি খাবার, ফুচকা-সহ নানান মুখরোচক চেনা ও হারিয়ে যাওয়া খাবার পাবেন এখানে।
সব মিলিয়ে আট থেকে আশি মেতে ওঠেন এই মেলায়। নানান জিনিস কিনে জিলিপি ও পাঁপড় ভাজা হাতে নিয়ে পড়ন্ত বিকেলে বাড়ির পথ ধরেন দর্শনার্থীরা। তাই এটি শুধু মেলা নয় বরং এখানকার মানুষের আবেগের আরেক নাম গেঁড়ি বুড়ির মেলা।