প্রতিদিন পট পাড়ায় আসা বহু পর্যটক দাম দিয়ে কিনছেন সেগুলো। এছাড়াও, উপহার সামগ্রী হিসেবে প্রচলিত জিনিসের পরিবর্তে তারা দিচ্ছেন পট শিল্পীদের হাতের তৈরি নানা জিনিস। সুন্দর সুন্দর কাস্টমাইজ নানা ব্যবহার্য জিনিসপত্র তৈরি করছেন বাংলার শিল্পীরা। কাগজে রঙ তুলির আঁচড় কেটে ছবি ফুটিয়ে তোলাই শুধু নয়, এবার মানুষের ব্যবহারের জিনিসে নানা ছবি ফুটিয়ে তুলছেন পট শিল্পীরা। এমন জিনিস এবার বাড়িতেই বানাচ্ছেন পট শিল্পীরা। গ্রামীণ হাট বা মেলার পাশাপাশি এগুলো বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হস্তশিল্প মেলাতে।
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা বিখ্যাত পট শিল্পের জন্য। এখানে প্রায় শতাধিক পটশিল্পীদের বসবাস। সকাল থেকেই প্রতিটি বাড়িতে শিল্পীরা রঙ তুলি দিয়ে কাগজে ফুটিয়ে তোলেন নানান ছবি। কখনও সামাজিক আবার কখনও নানান ধর্মীয় ছবি এঁকে এবং সমার্থক গান লিখে পরিবেশন করেন পটুয়ারা। তবে যত সময় এগোচ্ছে, নিজেদের শিল্পকলায় পরিবর্তন আনছেন পট শিল্পীরা। মানুষের চাহিদার কথা ভেবে সাদা কাগজে কিংবা ক্যানভাসে পটের ডিজাইন নয়, এবার ছবি এঁকে কাস্টমাইজ করে দিচ্ছেন টি-শার্ট, শাড়ি, কেটলি, প্লেট, কাপ-সহ বিভিন্ন জিনিস। বাজারে চাহিদাও রয়েছে এইসব জিনিসের।
মানুষের স্বাদে বদল আনতে তারা পটের ডিজাইন কাস্টমাইজ করছেন কাপ, প্লেট, ঘর সাজানোর উপকরণ, টি-শার্ট, শাড়ি একাধিক জিনিসে। কাগজের পটের চেয়েও ব্যবহার্য এই সকল জিনিস বেশি কিনছেন সাধারণ মানুষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, বর্তমান দিনে মানুষ শখে এক দুটো কাগজের পট কিনলেও ব্যবহার্য নানা জিনিস দাম দিয়ে কিনছেন তারা। তাই মানুষের স্বাদের কথা মাথায় রেখে শিল্পীরা তৈরি করছেন এই সব জিনিস। একদিকে যেমন ব্যবহার করা যাবে, তেমনই টেকসই জিনিস বেশ উপকারেও লাগবে। উপহার হোক কিংবা নিজের ব্যবহার, সবেই ছোঁয়া পটের ডিজাইনের। স্বাভাবিকভাবে মানুষের পছন্দ মতো স্বাদ বদলেছেন পটুয়ারা।






