আয়োজক সংস্থার দাবি, বর্তমান প্রজন্মের যুবক-যুবতীরা ক্রমশ মোবাইল ফোনে আসক্ত হয়ে পড়ছে। খেলাধুলো, মাঠের আনন্দ আর দলগত চর্চা থেকে তারা দূরে সরে যাচ্ছে। সেই গতানুগতিক কু-অভ্যাস থেকে বের করে এনে শরীরচর্চা, শৃঙ্খলা ও দলগত চেতনার সঙ্গে যুক্ত করতেই এই ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন। বড়দিনের আনন্দকে আরও অর্থবহ করে তুলতেই এই দিনে মাঠে নামার সুযোগ দেওয়া হয়েছে আদিবাসী মহিলা ফুটবলারদের।
advertisement
এই নরেন্দ্র কাপ টুর্নামেন্টে বাঁকুড়া জেলার মোট সাতটি বিধানসভা এলাকা থেকে মহিলা ফুটবল দল অংশগ্রহণ করেছে। প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়েরা, যারা দিনের পর দিন সংসার, পড়াশোনা কিংবা শ্রমের কাজের ফাঁকে ফুটবলকে ভালবেসে মাঠে অনুশীলন করেন, তারাই এখানে মূল আকর্ষণ। অনেকের পায়ে নেই দামি জুতো, নেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। তবুও চোখে মুখে আত্মবিশ্বাস আর লড়াই করার অদম্য জেদ স্পষ্ট।
প্রসঙ্গত, বাঁকুড়া জেলার মহিলা ফুটবল নতুন কিছু নয়। জঙ্গলমহল অঞ্চলের বহু আদিবাসী মেয়ে ইতিমধ্যেই জেলা ও রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় নিজেদের প্রতিভার ছাপ রেখেছে। স্কুল স্তর থেকেই ফুটবলের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়, যা পরবর্তীতে ক্লাব ও ব্লক স্তরের টুর্নামেন্টে রূপ নেয়। তবে পর্যাপ্ত পৃষ্ঠপোষকতা ও সুযোগের অভাবে অনেক প্রতিভাই আড়ালেই থেকে যায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রেক্ষাপটে নরেন্দ্র কাপ শুধু একটি ফুটবল টুর্নামেন্ট নয়, বরং এটি আদিবাসী মহিলা ফুটবলারদের স্বপ্ন দেখার মঞ্চ। বড়দিনের উৎসবের সঙ্গে মিলেমিশে এই ফুটবল আসর জঙ্গলমহলে পৌঁছে দিচ্ছে আত্মবিশ্বাস, অনুপ্রেরণা আর নতুন সম্ভাবনার বার্তা।





