ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীকে আমন্ত্রণ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মতে, পুজোর আসর কোনও রাজনৈতিক দলাদলির ক্ষেত্র নয়। একজন নেতাকে ডাকা হলে অন্য কেউ বঞ্চিত বোধ করেন। সেখান থেকে বিভাজন সৃষ্টি হয়। তাই রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের ‘প্রকৃত পথপ্রদর্শক’ তথা মায়েদের হাতেই এবারের পুজো উদ্বোধন করানো হয়েছে। ফলে উদ্বোধনী মঞ্চ আবেগ, স্মৃতি ও সম্মানের মেলবন্ধনে ভরে ওঠে।
advertisement
নদিয়ার শান্তিপুরের এই ক্লাবের এবারের থিম ‘ইচ্ছে ডানা’। এর মধ্য দিয়ে সমাজে এক বিশেষ বার্তা পৌঁছে দিতে চায় ক্লাব। মূল বার্তা হল, পাখিদের সংরক্ষণ, তাঁদের অবাধ বিচরণ এবং পরিবেশে তাঁদের অপরিহার্য ভূমিকার গুরুত্ব। সেই অনুযায়ী প্যান্ডেলের ভিতর পাখিদের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। দেখা যাবে, মাটির হাঁড়ি, কলসি, গাছের ডাল থেকে মাছ ভরা জলাশয়, যা পাখিদের প্রাকৃতিক খাদ্যের উৎস। পুরো প্যান্ডেলজুড়ে যেন এক পরিবেশবান্ধব আবহ জীবন্ত হয়ে উঠেছে। প্রতিমা নির্মাণেও থিমের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা হয়েছে।
৫০ বছরের ইতিহাসের এই সোনালি অধ্যায়কে স্মরণীয় করে রাখতে নানা সামাজিক উদ্যোগও গ্রহণ করেছে বিদ্যাপীঠ ক্লাব। ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফে পাওয়া ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে কেবল পুজোর খরচ নয়, একাধিক মানবিক কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দুঃস্থদের বস্ত্র বিতরণ, মধ্যাহ্নভোজনের আয়োজন এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য বই-খাতা বিতরণ।
পুজোর চারদিনই মণ্ডপে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। উদ্বোধনের পর থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য মণ্ডপ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনের দিনই থিমপুজোর এই অভিনব পরিবেশে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করেছেন। দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, প্রবীণ মায়েদের সংবর্ধনা দিয়ে যে সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিদ্যাপীঠ ক্লাবের এই সোনালী জয়ন্তী শুধু একটি দুর্গাপুজো নয়, বরং সমাজের কাছে এক গভীর বার্তা- অতীতকে সম্মান করে ও পরিবেশকে রক্ষা করে আগামী প্রজন্মকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বই প্রকৃত উৎসবের চেতনাকে জাগিয়ে তোলে।