স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে একাই থাকতেন লক্ষ্মীদেবী। তাঁকে দেখাশোনা করতেন গ্রামেরই সনাতন কিস্কু নামে এক ব্যক্তি। কয়েকদিন আগে লক্ষ্মীকে ডাইনি বলে অপবাদ দেন গ্রামের কয়েকজন। তারপর শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ ফুট দূরের জলাশয় থেকে লক্ষ্মী হেমব্রমের দেহ উদ্ধার হয়। লক্ষ্মীদেবীর গলা ও ঘাড়ের কাছে ধারালো অস্ত্রের কোপ আছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সমাজের ‘প্রকৃত শিক্ষক’! টিচার্স ডে-তে সম্মানিত ‘ওঁরা’, সরকারি বিদ্যালয়ের অভিনব আয়োজন ছবিতে দেখুন
শেখ আরশেদ আলী জানান, বৃদ্ধাকে কেউ মেরে পানা পুকুরে ফেলে রেখে গিয়েছে শুনলাম। কী করে মেরেছে আমরা দেখিনি। এসে দেখলাম ঘাড়ে কোপের দাগ রয়েছে। পরে পুলিশ এসে দেহটি তুলে নিয়ে যায়।
সনাতন কিস্কু জানান, ঘাড়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। পাশের ডোবা থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে। ওনার কেউ নেই বাড়িতে উনি একাই থাকতেন। আমি গ্রামের সম্পর্কে নাত জামাই হই। তাই সারা বছর দুপুরে খাবার দিয়ে যেতাম। আমি রোজ দুপুরে ১০-১৫ মিনিটের জন্য আসতাম, খাবার দিয়ে চলে যেতাম। তাছাড়া উনি একাই থাকতেন। তবে অনেকেই বলছিলেন শুনছিলাম উনি ডাইনি। মারবে কেউ কিছু বলেনি, কিন্তু ডাইনি অপবাদ শোনা যাচ্ছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জী জানিয়েছেন, কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জলাশয়ের কাছে খুন করা হয়। তবে ডাইনি সন্দেহে মারা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।