সমাজের 'প্রকৃত শিক্ষক'! টিচার্স ডে-তে সম্মানিত 'ওঁরা', সরকারি বিদ্যালয়ের অভিনব আয়োজন ছবিতে দেখুন
- Published by:Sneha Paul
- hyperlocal
- Reported by:Ranjan Chanda
Last Updated:
Teachers Day 2025: শিক্ষক দিবসের আবহে সমাজের 'প্রকৃত শিক্ষক'দের সম্মান জানিয়ে এক অভিনবত্ব সৃষ্টি করেছে এই বিদ্যালয়
<strong>পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দঃ</strong> জীবনের প্রথম শিক্ষক বাবা-মা। তবে বাবা মায়ের শিক্ষক দাদু-ঠাকুমা। মা-বাবার পাশাপাশি প্রত্যেককেই নিজের দাদু-ঠাকুমাকে সম্মান জানানো উচিত। যাদের দেখানো পথ বাবা-মা শেখান ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের। তাই শিক্ষক দিবসের প্রাক্কালে অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করল একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। বয়ঃজ্যেষ্ঠদের সম্মান, তাঁদের প্রতি ভালবাসা এবং কর্তব্যবোধ জাগাতে অভিনব উপায় গ্রহণ করল পড়ুয়া থেকে শিক্ষকরা। শুধু তাই নয়, ছিল পুরনো আঙ্গিকে তাঁদের সম্মান জানানোর অনুষ্ঠান।
advertisement
শিক্ষক দিবসের আগে প্রকৃত শিক্ষক, বাড়ির প্রবীণ সদস্যদের সম্মান জানাল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন ভাগবত চরণ হাই স্কুল। যারা পরিবারের অভিভাবক, যারা সমাজের বয়স্ক, যারা পৃথিবীতে অনেকগুলি দিন কাটিয়েছেন, এমন বেশ কয়েকজন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে সম্মান জানিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে কেন এই আয়োজন জানেন? (ছবি ও তথ্যঃ রঞ্জন চন্দ)
advertisement
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ দাস বলেন, বিদ্যালয়ের আগে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত শিক্ষক তাঁদের বাবা-মা। কিন্তু সেই বাবা-মায়ের শিক্ষক তাঁদের বাবা-মা অর্থাৎ ছোট ছোট পড়ুয়াদের দাদু অথবা ঠাকুমা। তবে বর্তমান সময়ে পরিবারের বয়স্কদের কিছুটা অবহেলার চোখে দেখেন অনেকে। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা, সম্মান জানাতে এবং বিনয়ী হতে শিক্ষক দিবসের আগে এমন প্রবীণ বয়স্ক অভিভাবকদের সম্মান জানানোর আয়োজন করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয় 'প্রাজ্ঞ পরশ'। (ছবি ও তথ্যঃ রঞ্জন চন্দ)
advertisement
এই ঘরোয়া অনুষ্ঠান ছিল অভিনবত্বে ভরপুর। প্রায় ১০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে সম্মান জানিয়েছে দাঁতন ভাগবত চরণ হাইস্কুল। তাঁদের হাতে একটি পোস্টকার্ডে লেখা সম্মাননা পত্র, একটি করে মাটির ফুলদানি তুলে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, সমাজের প্রতি তাঁদের দায়িত্ব, কর্তব্য এবং তাঁদের এত বছরের পথচলা পড়ুয়াদের সামনে তুলে ধরেন উপস্থিত প্রবীণরা। (ছবি ও তথ্যঃ রঞ্জন চন্দ)
advertisement
বিদ্যালয়ের পড়ুয়া সৃজনী কামিল্যা, সায়ন্তনী পালরা বলেন, আমরা প্রতিবছর বিদ্যালয়ে শিক্ষক দিবস পালন করি। তবে আমাদের শিক্ষক বাবা-মা। তাঁদের শিক্ষক তাঁদের বাবা-মা। তাই এদিন দাদু ও ঠাকুমাদের কথা, তাঁদের দেওয়া পরামর্শ শুনেছি। অভিনব এই সিদ্ধান্ত ও উদ্যোগ বিদ্যালয়ের। আমরা বেশ খুশি। (ছবি ও তথ্যঃ রঞ্জন চন্দ)
advertisement