অভিযোগ,দশ বছরের জন্য ওই বাড়ি ভাড়ার (House rent) চুক্তি হয় কিন্ত তা শেষ হয়ে গেলে দীপক রানা ওই বাড়িটি ছাড়ছেনা এমনকি ভাড়াও দিচ্ছে না।এছাড়াও বজনন্দ গুছাইতকে ওই বাড়িতে উঠতে দিচ্ছে না এমনই অভিযোগ বজনন্দ গুছাইতের। পেশায় ক্ষুদ্র চাষি ওই দম্পতি,স্বামী- স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী এক ছেলেকে নিয়ে সংসার গুছাইত দম্পতির। বর্তমানে তাদের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু নেই, ত্রিপলে ঘেরা ভাঙাচোরা মাটির ঝিটে বেড়া বাড়িতে বসবাস করছেন বলে দাবি তাদের।
advertisement
আরও পড়ুন - Pesticides are selling in Black Market: ভর্তুকির সার বিক্রি হচ্ছে কালোবাজারে, আলু চাষীদের মাথায় হাত
ওই বাড়িটি ফিরে পেলে সেখানে শান্তিতে বসবাস করতে চান তারা।কিন্তু চুক্তির মেয়াদ বছর ছয়েক আগেই শেষ হলেও তারপর থেকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারংবার ভাড়াটিয়া দীপক রানাকে বললেও তিনি কোনও কর্নপাত করেনি,উল্টে প্রভাব খাটিয়ে ওই দম্পত্তিকে গায়ের জোর দেখিয়ে বাড়িটি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন - Kolkata Corporation Election 2021: ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডে দেবাশীষ কুমার গরীবের মসিহা,জনগণের বন্ধু
এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনও সুরাহা মিলেনি বলে জানান গুছাইত দম্পতি।অবশেষে নিজের বাড়ি ফিরে পেতে বুধবার ঘাটালের মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হন এবং তার সাথে দেখা করে লিখিত অভিযোগ করে বাড়ি ফেরার আবেদন জানান বলে দাবি। এ বিষয়ে মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে তিনি ক্যামেরায় কিছু বলতে চাননি।তবে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন এবং ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান।
স্থানীয় অঞ্চল প্রধান সাবিনা ইয়াসমিন জানান,দীপক রানাকে এই বিষয়ে মিটিংয়ে বসার জন্য অঞ্চল থেকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে কিন্তু কোনভাবেই দীপক রানা মিটিংয়ে বসছে না ।ওই পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই তাই নিজেদের বাড়ি যাতে ফিরে পাই তারজন্য সহযোগীতা করা হবে।" এবিষয়ে বার (Bar cum Resturant) কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান,এই বিষয় নিয়ে কোর্টে কেস চলছে যা হবে কোটেই হবে।ক্যামেরায় বেশি কিছু মন্তব্য না করলেও অনেকেই অনেক কিছু দাবি করতেই পারে তা নিজের বলে কোর্ট বিচার করবে এমনটাই জানানো হয় তাদের পক্ষ থেকে।
কয়েকদিন আগেই ওই দম্পত্তি বার কাম রেস্টুরেন্টের (Bar cum Resturant) সামনে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্নাতেও বসেছিলেন বলে জানান।নিজের বাড়ি দাবি করে স্বপক্ষে ওই বাড়ি ও জায়গার নথি হাতে তা ফিরে পেতে এখন প্রশাসনের দুয়ারে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন গুছাইত দম্পতি।
