উল্লেখ্য ঝাড়গ্রাম জেলায় বেশ কয়েক মাস ধরে হাতির তাণ্ডব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দলমার হাতির দল আশ্রয় নিয়েছে ঝাড়গ্রামে। ফলে জঙ্গল ও জঙ্গল সংলগ্ন এলাকার মানুষের রুজি রোজগারে বাধা পড়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলার বেশ কিছু মানুষ নির্ভর করেন জঙ্গলের ফল, মূল, পাতা সহ একাধিক বনজ সম্পদের উপর। তাদের সংসার চালানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে। এক প্রকার বাধ্য হয়েই তারা জঙ্গলে যাচ্ছেন। আর সংকটে পড়েছেন জঙ্গল সংলগ্ন বসবাসকারীরাও। জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বাড়ি হওয়াতে তারা অন্যত্র স্থানান্তরও হতে পারছেন না ফলে এক প্রকার প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তারা বসবাস করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘মোদির কন্ঠস্বর নকল করে…’ ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটিয়েছেন বর্ধমানের রেলকর্মী! তারপর যা ঘটল…
ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জঙ্গলে হাতির আশ্রয় নেওয়ায় বনদফতরের তরফে জঙ্গলে যেতে মানা করা হয়েছে স্থানীয়দের। জঙ্গলমহল স্বরাজ মোর্চার সভাপতি অশোক মাহাতোর দাবি “জঙ্গলে মানুষ এবং হাতি একসঙ্গে থাকতে পারে না, বন দফতরের উচিত তাদের আলাদাভাবে জায়গা চিহ্নিত করা সেটা না করার জন্যই এই দুর্ঘটনাগুলো বারবার ঘটছে।” প্রাক্তন বনকর্তা সমীর মজুমদার জানিয়েছেন “হাতির প্রবল ঘ্রাণ শক্তি, মদ বা হাঁড়িয়ার গন্ধ হাতিকে খুব আকৃষ্ট করে। পুকুরিয়া গ্রামে কোথাও মদ বা হাঁড়িয়া রাখা ছিল, সেই গন্ধের খোঁজেই হাতি ওই বাড়িতে গিয়েছিল। অথবা ওই ব্যক্তি নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ঘুমোচ্ছিলেন তাই হয়তো এই দুর্ঘটনা।”
বন দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন “হাতিকে তো সচেতন করা সম্ভব নয় তাই সাধারণকেই সচেতন হতে হবে, বনদফতরের থেকে আপ্রাণ চেষ্টা করা হয় যাতে এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনাগুলো না ঘটে। আগের থেকে হাতির আক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা অনেকটাই কমেছে।”






