প্রায় ১০ বছর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার অন্তর্গত মগরা গ্রাম থেকে হাওড়ায় কারখানায় কাজ আছে ছিল শ্রীকান্ত। একটু বেশি উপার্জন করে পরিবারের পাশে দাঁড়াবে সেই আশা নিয়েই ঘর ছেড়ে ছিল যুবক। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটবে ৩৬ বছর বয়সি শ্রীকান্তর সঙ্গে আন্দাজও করতে পারেনি কেউ। কাজের ফাঁকে ছুটি পেলে মাঝে মধ্যে বাড়িতে যেত। কয়েকমাস বাড়িতে যায়নি, বাড়ির সঙ্গে ফোনে কথাও হয়নি বেশ কিছুদিন হয়েছে। এর মধ্যেই রবিবার দুঃসংবাদ পৌঁছল পরিবারে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাত ১০টা পর্যন্ত নির্যাতন, করা হয় ভিডিও! ল কলেজের ঘটনায় গভর্নিং বডির বৈঠক ডাকার নির্দেশ
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে বাড়িতে হাওড়া সাঁকরাইল থানার পুলিশ ফোন মারফত জানায় শ্রীকান্তর মৃত্যু খবর। সোমবার সাঁকডরাইল থানা উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পরিবারের লোকজন। মাঝ রাস্তা থেকেই হাওড়া হাসপাতালে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে দেহ নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও পরিবারের হাতে দেহ দেওয়া হয়নি অভিযোগ পরিবারের।
আরও পড়ুন: পুরীতে রথ টানার সময় চরম বিশৃঙ্খলা! ভিড়ের চাপে আহত অন্তত ৫০০ জন, আশঙ্কাজনক অনেকে
পরিবারের লোকজন জানায়, টিপসই শেষে একটি ছবি দেখান হয়েছিল। সেই ছবিতে শ্রীকান্তর গোটা শরীর পোড়া। মদ্যপ অবস্থায় দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছে পুলিশ, এমনটাই জানাযায় পরিবার সূত্রে। তবে পরিবারের মনে করছে, কারখানায় বা অন্য কারণে মৃত্যু হয়েছে ছেলের। মৃত ছেলের দেহ পাওয়ার দাবি জানাচ্ছে পরিবার। একই সঙ্গে ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি তাঁদের। মেদনীপুর থেকে মৃতের বাবা সহ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন দেহ পেতে হাওড়ায় হাজির হয়েছেন। ছেলেকে শেষ দেখা দেখতে অপেক্ষায় বৃদ্ধ বাবা।
রাকেশ মাইতি






