এক সপ্তাহ ধরে চলছে ৪৩ তম মুর্শিদাবাদ জেলা বইমেলা। সেই বইমেলাতে প্রতিবারের মতো এবারেও এসেছে দুষ্প্রাপ্য ও পুরনো বইয়ের সম্ভার আছে। কলেজ স্ট্রিট থেকে বইয়ের পসরা নিয়ে এসেছেন বই বিক্রেতা আজাদ মণ্ডল। বাবার সঙ্গে কাজে হাত লাগাচ্ছেন ছেলে জয় মণ্ডল। এই স্টলে ঢুকলে মনে হবে কোনও প্রাচীন সংগ্রহশালায় এসেছেন। শতাব্দী প্রাচীন রামায়ণ, মহাভারতের সংস্করণ থেকে শুরু করে ব্যাকরণ বই। পুরনো লিটল ম্যাগাজিনের পাশাপাশি রয়েছে পঞ্জিকা। রয়েছে বিভিন্ন ক্লাসের বই, ডাক্তারি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বইও। আর সেই স্টলে ভিড় করেছেন বইপ্রেমীরা। পুরনো বইয়ের নেশায় আজও হন্যে হন কিছু পাঠক। তাই বইমেলাতে নতুন বইয়ের পাশাপাশি জমেছে আজাদের দুষ্প্রাপ্য বইয়ের দোকানে।
advertisement
১০০ বছরের প্রাচীন বিভিন্ন বই মিলছে এই বইয়ের দোকানে। যা বই মেলার অন্যতম এক আকর্ষণীয় বিন্দু। যদিও বই বিক্রেতা আজাদ মণ্ডলের কথায়, ১৯৭১ সালে বইয়ের অভাবে মাধ্যমিক পরিক্ষা দিতে পারেননি। তখনই জোগাড় করতে শুরু করেন পুরনো বই। আজ কলেজ স্ট্রিটে যাঁরা পুরনো বইয়ের কারবার করেন, আজাদ তাঁদের মধ্যে সব থেকে প্রবীণ। আজাদ আর তাঁর ছেলে জয় দু’জনেই শীতের মরসুমে জেলায় জেলায় বইমেলায় যান।
আরও পড়ুন: চলে গেলেন ‘সিংঘম’ খ্যাত জনপ্রিয় অভিনেতা! ক্যানসার কেড়ে নিল রবীন্দ্রকে, শোকাচ্ছন্ন ইন্ডাস্ট্রি
এবারের বইমেলায় আজাদের স্টলে রয়েছে এক লক্ষ টাকা দামের পুরনো পঞ্জিকা, যা ১৩১২ বঙ্গাব্দের। এই শতাব্দী প্রাচীন পঞ্জিকাই এবার তাঁর স্টলের বিশেষ আকর্ষণ। আগের বছরেও মুর্শিদাবাদ বইমেলায় ভাল ব্যবসা হয়েছিল, এবারেও ভাল বিক্রি হবে আশাবাদী বই বিক্রতা আজাদ। তবে বেশি চাহিদা আছে পঞ্জিকার। বিক্রি হচ্ছে লক্ষাধিক টাকায়।
যদিও ক্রেতারা জানিয়েছেন, বই মেলাতে এলে নতুন বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে ১১ বছর ধরে টানা আসছেন এই বই বিক্রেতা। তবে পুরোনো বইয়ের মধ্যে চাহিদা আছে পঞ্জিকার। যা ক্রয় করছেন অনেকেই।
কৌশিক অধিকারী