"থালা সারাই" এর কথা সচরাচর শোনা যায় না সব জায়গাতে। তাই থালা সারানোর লোকও কম। গ্রাজুয়েশনের পর চাকরি না পেয়ে সংশাধনের জন্য দিব্যেন্দু বেছে নেন থালা সারানোর কাজ। কখনও কখনও সারাদিনে সারানো হয় শতাধিক থালা। একটি পিতলের থালার সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে থালার মালিকের মায়া।
advertisement
তাই থালার গায়ে অনভিপ্রেত একটি ক্ষুদ্র ছিদ্র থাকা সত্ত্বেও ফেলতে পারেন না সেই থালাটা। ঠিক এমন সময় প্রয়োজন হয় দিব্যেন্দুকে। দিব্যেন্দুর কাছে নিয়ে এলেই দুই থেকে তিন মিনিটে নিমেষের মধ্যে সেরে উঠবে, মায়া জড়ানো সেই থালা।
আরও পড়ুন: ভারতের 'এই' স্টেশনে মানুষ টিকিট কাটেন, কিন্তু ট্রেনে চড়েন না...! চমকে দেবে আশ্চর্য কারণ
মাত্র বারো টাকা মূল্যে প্রতিটি থালা সরিয়ে দেন দিব্যেন্দু কুচল্যান, এক একটি থালা সারাতে খরচ প্রায় ৭ থেকে ৮ টাকা। তবুও স্বল্পমূল্যে সকলের জন্য থালা সারিয়েই খুশি দিব্যেন্দু কুচল্যান। গ্র্যাজুয়েশনের পর চাকরি না পেয়ে কিছু নতুন করার আকাঙ্ক্ষা নিয়েই শুরু করেন এই ব্যবসা। দিব্যেন্দুর মতে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম তিনি সারাচ্ছেন ধাতব থালা। তার ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল কিছু একটা নতুন করা যাতে তিনি ভাঙতে পারেন একঘেয়ে জীবনের বেড়াজাল। বর্তমানে এই থালা সারাই করেই বেশ পরিচিতি লাভ করেছে দিব্যেন্দু। থালার ছিদ্র মারফত তার নাম পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে।
নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়