শুধু তাই নয়, যতটা সম্ভব প্রকৃতির কাছে থাকার চেষ্টা করেন হামির ভাই বাড়াইয়া। হরিয়ানার লালুর সঙ্গে এসেছেন বাঁকুড়ার বীজ উৎসবে। দোকানে যখন কেউ আসছেন তখন লালুই কথা বলছেন। হামির ভাই এনেছেন একাধিক সুদৃশ্য লাউ এবং বীজ। এই বীজ বিভিন্ন জায়গায় বিনামূল্যে বিতরণ করে বেড়ান তিনি। বিগত ১৫ বছর ধরে খালি পায়ে প্রচন্ড ঠান্ডা থেকে শুরু করে প্রচন্ড গরম পর্যন্ত ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি।
advertisement
সপ্তাহে দু’দিন উপবাস পালন করেন হামির ভাই। একদম জৈব পদ্ধতিতে তৈরি করা খাবার খান তিনি। বাসনপত্র যদি লোহা কিংবা মাটির না হয় তাহলে খাবার খান না হামির ভাই। স্টিলের বাসনে খাবার খান না তিনি। সেই কারণে নিজের সঙ্গে শুকনো খাবার নিয়ে ঘুরে বেড়ান ভারতময়।গোটা ভারতবর্ষ যখন অজৈব খাদ্যাভ্যাসের দিকে ঝুঁকেছে তখন হামিরভাই লড়াই করছেন প্রকৃতিমুখী জীবনধারায় এগিয়ে চলার।
মাটির স্পর্শ এবং বৈদিক নিয়ম মেনে আহার গ্রহণ করার সঙ্গে চিত্তশুদ্ধির জন্য মৌনব্রত পালন করে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনের চেষ্টা করছেন হামির ভাই। বাঁকুড়ার বীজ উৎসবে সেই কারণে একটি রঙিন চরিত্র হিসেবে হামির ভাই ফুটে উঠেছেন।