ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে ভাতারের বামশোর গ্রামে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। গ্রামে ঢোকার মুখেই বেশ কিছু গ্রামবাসী সাংসদকে কাছে পেয়ে বলেন,” আমরা আপনাকে সাংসদ করেছি, কিন্তু আপনাকে দেখাই যায় না। কাজ করেও ১০০ দিনের টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি আবাস যোজনার ঘর নিয়েও সমস্যা হচ্ছে।” তারা আরও বলেন, “১০০ দিনের কাজের টাকা না পাওয়ার জন্যই এখানকার মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বাইরে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।”
advertisement
যদিও সাংসদ গোটা বিষয়ের দায়ভার চাপিয়েছেন রাজ্যে সরকারের ওপর। ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী দাবি, ” এখানে তৃণমূল জড়িত নয়। সাধারণ মানুষের দাবি সাধারণ মানুষ জানিয়েছে । তৃণমূল কংগ্রেস বা আমাদের ছেলেরা এই মুহূর্তে কার কী দরকার লাগবে সেই সমস্ত কাজ দেখভাল করতে ব্যস্ত।”
আরও পড়ুন : ট্রেন দুর্ঘটনায় এ রাজ্যের আহতদের কটক ও মেদিনীপুরের হাসপাতাল থেকে আনা হবে কলকাতায়, পৌঁছেছে বিশেষ টিম
পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়ার পথে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কয়েকজন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। তেমনই ভাতারের বামশোর গ্রামে আহত দু’জন ফিরে এসেছেন শুনে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। তাঁর উপস্থিতি যে তাঁরা ভালভাবে নেননি তা জানিয়ে দেন গ্রামবাসীরা।
শুধুমাত্র রাজনীতির কারণেই সাংসদ সহানুভূতি দেখিয়ে গ্রামে এসেছেন বলে সরব গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলেন প্রকৃতই যদি মানুষের পাশে থাকতে হয় তাহলে সাংসদ বারবার এলাকার মানুষের সঙ্গে থাকতেন। কিন্তু তাঁর দেখাই পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, ১০০ দিনের কাজ করে তার টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্রের বঞ্চনায় আবাস যোজনার টাকা মিলছে না বলেও অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। সাংসদ বলেন, ” এ জন্য রাজ্য সরকার দায়ী। ১০০ দিনের কাজে অনেক ভুল ত্রুটি রয়েছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনেকের নাম আবাস যোজনার তালিকায় উঠে গিয়েছে। সেজন্যই সমস্যা তৈরি হয়েছে।” যদিও সংসদের এই বক্তব্য মানতে রাজি হননি গ্রামবাসীরা।