এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রামের খোদামবাড়ি এলাকায়। ওড়িশার জজপুরে বাস দুর্ঘটনায় নিহত হন ওই গৃহবধূ।
নন্দীগ্রামের খোদামবাড়ি এলাকার চন্দন দাস ও তার স্ত্রী বর্ণালী দাস বেরা শেষ বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে কটকের এএমইএস-এর উদ্দেশ্যে রওনা দেন চিকিৎসার জন্য। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার চিকিৎসা করিয়ে শনিবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। সেই মতো ওই দম্পতি প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু বাড়ির পাশে এক প্রতিবেশী ফোন করে ওই দম্পতিকে জগন্নাথ দেবের দর্শন করে বাড়ি ফেরার কথা বলেন। সেই মতো চন্দন দাস ও তাঁর স্ত্রী বর্ণালী দেবী জগন্নাথ দেবের দর্শন করতে পুরী যান।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝলসে যাওয়া গরমে ফুটছে দক্ষিণবঙ্গ! জেলার পর জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হতে চলেছে, স্বস্তির বৃষ্টি ফের কবে!
জগন্নাথ দেবের দর্শন করে সোমবার সন্ধ্যায় পুরী থেকেই বাস ধরেন বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে। আর বাড়ি ফেরার পথে সেই বাস ওড়িশার জজপুরে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বারাবতী ব্রিজের ওপর থেকে নীচে পড়ে যায়। ওই দুর্ঘটনায় নিহত হন বর্ণালী দেবী। এবং গুরুতর আহত তাঁর স্বামী চন্দন দাস।
এ বিষয়ে তাঁদের পরিবারের সদস্য জানান, চন্দন ও তাঁর স্ত্রী চিকিৎসার জন্য কটক গিয়েছিলেন। চিকিৎসার পরই বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু এক প্রতিবেশীর কথা শুনে পুরীর জগন্নাথ দেবের দর্শন করতে যান। সেখান থেকেই বাড়ি ফেরার কথা। এমনকি সন্ধ্যার সময় পরিবারের লোকজনকেও ফোন করে জানান, তাঁরা ভোরবেলায় বাড়ি ফিরছেন। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা পরই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান বর্ণালী দাস বেরা। এমনকি তাঁর স্বামী চন্দন দাসের হাতের হাড় ভেঙেছে বলেও জানান পরিবারের লোকজন।
প্রসঙ্গত জজপুরে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দারাই বেশি ছিলেন। এই দুর্ঘটনায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চারজন মারা গিয়েছেন। যার মধ্যে নন্দীগ্রামের বাসিন্দা বর্ণালী দাস বেরাও রয়েছেন। তাঁর এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবার ও প্রতিবেশীদের মধ্যে।
সৈকত শী