লাল শাক, মুলো শাক, সরষে শাক, মোটর শাক, পালং শাকের পাশাপাশি চাষ করা হচ্ছে ঢেঁড়স, বেগুন, ওলকপি সহ নানান আনাজ। সোনারপুর ব্লকের খেয়াদহ অঞ্চলে নেওয়া হয়েছে এই উদ্যোগ ৷ এলাকার জল ও মাটির গুণমান পরীক্ষা করে কোন জায়গায় কীভাবে চাষ করা হবে—তা পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশ থেকে শুরু করে জৈব চাষের উপর প্রশিক্ষণ, সবেতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সমষ্টিগতভাবে এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে বহু মহিলা ইতিমধ্যেই এই পুষ্টি বাগান প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন।
advertisement
শুধু চাষ নয়, বাড়িতেই জৈব সার তৈরির পদ্ধতিও চালু করা হয়েছে। রান্নাঘরের নিত্য ব্যবহৃত বর্জ্য থেকে তৈরি হচ্ছে পরিবেশবান্ধব জৈব সার। ফলে চাষের খরচ কমছে, বাড়ছে উৎপাদন। উৎপন্ন ফসল নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে বাড়িতেই ব্যবহার করা যাচ্ছে, পাশাপাশি উদ্বৃত্ত শাকসবজি বিক্রি করেও আয় করছেন এলাকার মহিলারা। এই উদ্যোগ শুধু আর্থিক স্বনির্ভরতার পথই খুলে দেয়নি বরং পরিবেশ রক্ষা ও স্থিতিশীল কৃষির দিশাও দেখাচ্ছে পূর্ব কলকাতার জলাভূমি এলাকাকে।