আরও পড়ুন : পুলিশের মানবিক মুখ, অন্নসংস্থানের জন্য দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িচালককে টোটো উপহার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতা কালিয়াচক থানার সুজাপুর এলাকার বাসিন্দা । সোমবার সকালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে মালদা নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় । গর্ভস্থ শিশু অপরিণত অবস্থায় থাকায় চিকিৎসার প্রয়োজনে নার্সিংহোম এসেছিলেন ওই মহিলা । মালদহের এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করেন । কিন্তু, শরীরে অতিরিক্ত রক্তপাতের ফলে ওই মহিলা মুমূর্ষু হয়ে পড়েন । ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে । শুরু হয় রক্ত দেওয়ার তোড়জোড়। কিন্তু চিকিৎসাধীন থাকাকালীন রাতে মৃত্যু হয় ওই মহিলার ।
advertisement
আরও পড়ুন : দ্রোনাচার্য পুরস্কারে ভূষিত বাংলার সাঁতার কোচ, মহিষাদলের নাম উজ্জ্বল করলেন তপন পানিগ্রাহী
এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোমে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। মৃত্যুর খবর পেয়ে সুজাপুর থেকেও মৃতার বেশ কিছু আত্মীয় পরিজন নার্সিংহোমে চলে আসেন । অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হন মৃতের পরিজনেরা । এরপরে তর্কাতর্কি থেকে বচসা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ এরপরই নার্সিংহোমে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় মৃতের পরিবারের লোকেরা। মারধর করা হয় চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্মীদেরও। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে হামলার ছবি।
আরও পড়ুন : চোখের জলে শেষ বিদায় জঙ্গি হানায় নিহত শ্যামল দাসকে
বেশি রাতে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হামলায় আরও কারা জড়িত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে । অন্যদিকে, রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সময়ে তৎপর হলে প্রাণহানি ঠেকানো যেত । যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের পাল্টা দাবি সব ধরনের চেষ্টা করেও রোগীকে বাঁচানো যায়নি ।