হুগলি জেলার বন্দর এলাকার বাসিন্দা নিহার বর। বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। বুধবার ভোর নাগাদ হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরিবারের লোকেরা তাঁকে তড়িঘড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ঘাটালের কুশপাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করিয়ে দেন।
advertisement
নিহারের পরিবারের সদস্যদের দাবি, ভর্তি করানোর প্রায় ৪০ মিনিট পরেই মৃত্যু হয় নিহারের। মৃত্যু শেষে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানান, এই কয়েক মিনিটেই বিল হয়েছে প্রায় ১৯ হাজার টাকা। সপাট জানিয়ে দেওয়া হয়, বিল না মেটালে মৃতদেহ ছাড়া যাবে না।
আরও পড়ুন: করোনা বিধি না মানলে বন্ধ ভারত জোড়ো যাত্রা! রাহুল গান্ধিকে চিঠি স্বাস্থ্য় মন্ত্রী মাণ্ডব্য়র
কয়েক মিনিটে নার্সিংহোমের এত বিল দেখেই চক্ষুচড়কগাছ হয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের। ভিনজেলার বাসিন্দা হওয়ায় নার্সিংহোমের এই জুলুমের কথা জানানো হয় ঘাটাল থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামলায় পুলিশ।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের কাছে মৌখিক ভাবে ১৯ হাজার টাকা বিল দাবি করা হয়েছিল। কোনও পাকা বিল দিতে চাইছিলেন না নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এমনকি, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডও নিতে চাননি তাঁরা। তবে ঘাটাল থানার পুলিশ এলে শেষমেশ ৫ হাজার টাকা দিতেই মৃতের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেন কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় নার্সিংহোম মালিক অসীম কর্মকার ক্যামেরার সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।