দুর্গাপুরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেখানে নিয়মিত সাফাই কাজ হয় না। এলাকার নর্দমাগুলির অবস্থা সঙ্গীন। অপরিষ্কার পরিবেশের জন্য মশা-মাছির প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। সেই কারণেই ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। এই এলাকার প্রায় ৩০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর।
যদিও দুর্গাপুর পুরনিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য রাখি তিওয়ারি জানান, পুরসভার পক্ষ থেকে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের জন্য আগের মতোই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঘরে ঘরে গিয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে সার্ভে করানো হচ্ছে। কারোর জ্বর হলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করানো হচ্ছে। নিয়মিত সাফাই চলছে। মশা নাশক স্প্রে করা হচ্ছে। পুরসভা ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে তৎপর বলে তিনি দাবি করেন।
advertisement
আরও পড়ুন: ১৫ ফুটের বিশ্বকাপ ট্রফি! রোহিতের হাতে পারলে এখনই তুলে দেয়
উল্লেখ্য, গত অগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে দুর্গাপুরে ব্যাপকভাবে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। রীতিমতো ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল দুর্গাপুরের পলাশডিহা এলাকা। সেই সময় ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুরনিগম সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। বিভিন্ন জায়গায় সাফাই অভিযান করা হয়েছিল। সার্ভে করানো হয়েছিল। ক্যাম্প করানো হয়েছিল। অন্যদিকে আসানসোলেও ব্যাপক ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল। তবে পুজোর মুখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও ফের নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় চিন্তা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
নয়ন ঘোষ