ট্রাফিকের নতুন জরিমানার অঙ্ক শুনে মাথায় হাত গাড়িচালকদের। পুলিশ গাড়ি দাঁড় করিয়ে প্রথমেই কোনো না কোনোভাবে তাদের পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা জরিমানা ফিরিস্তি শোনাচ্ছে। তার পর একটা লম্বা কাগজ এনে পুলিশ গাড়ির ড্রাইভারের পিলে চমকানোর জন্য আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে জরিমানার অঙ্ক।
আরও পড়ুন - সাপের কামড়েও দমলেন না, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বসেই পরীক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর
advertisement
এর পর শুরু হয় আসল কায়দা। কনস্টেবল গাড়ির চালককে পাশে ডেকে নিয়ে বলে, 'তা হলে স্যার আপনার গাড়ির একটা ছোট কেস করে দিচ্ছে। আপনি দুশো, নইলে তিনশো টাকা দিন।' ড্রাইভার তাতেই রাজি হয়ে যায়।
সার্জেন্ট সেই টাকাটা নিয়ে,গাড়ি ছেড়ে দেয়। পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ড্রাইভার আর না দাঁড়িয়ে সোজা চম্পট দেয়। ১৯ এপ্রিল কামালগাজী এলাকার গ্যারেজ মিস্ত্রী দীপ মাইতি একটি চার চাকার গাড়ি সরানোর জন্য তাঁর গ্যারেজে নিয়ে আসছিলেন। সেই সময় বারুইপুর ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ তাঁকে ধরে। সেই একই গল্প। কয়েক হাজার টাকা জরিমানা হবে
দীপ বার বার বুঝিয়েছিলেন, অন্যের গাড়ি সরানোর জন্য তিনি নিয়ে যাচ্ছেন। ভয় দেখিয়ে ট্রাফিক কনস্টেবল তাঁর কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়ে নেয়। তাঁকে কোনো চালান দেয়নি। প্রশ্ন, এই টাকা গেল কোথায়? ২০০ টাকায় কি কেস দিলেন?
গড়িয়া ঢালাই ব্রিজে বীমার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া একটি গাড়ি ধরলেন বারুইপুর জেলা ট্রাফিক সার্জেন্ট। ১০ হাজার টাকার জরিমানার ভয় দেখিয়ে ৩৫০ টাকা নিয়ে নিলেন। এখানেও কোনো চালান কাটলেন না। এই বিষয়ে ওখানকার পুলিশ ও সার্জেন্টের সঙ্গে কথা বললে -তিনি বলেন, 'আমরা কেস করে দিয়েছি।'
আরও পড়ুন- ভরসন্ধ্যে, লোকজনের ভিড় রাস্তায়, ছাত্রীকে বাইকে তুলে নিল দুষ্কৃতিরা!
কেস করলে তার কাগজ কোথায়? উত্তর একটাই, 'আপনাকে জানাব না।আমার সুপিরিয়রকে উত্তর দেব।' ট্রাফিকের নতুন আইন চালু হওয়ার পর জরিমানার অঙ্ক অনেকটাই বেড়েছে। পুলিশের দাবী, এখন আগের থেকে কেসের সংখ্যা অনেক কমেছে। কেউ কেউ বলছেন, ট্রাফিক পুলিশের নাকি রোজগার বেড়েছে। কিন্তু উভয় সংকটে পড়েছেন গাড়ির মালিক থেকে শুরু করে ড্রাইভাররা।